ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

আজও ঈদ করতে গ্রামে ছুটছে মানুষ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০২, ১৫ মে ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজ ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনও (১৫ এপ্রিল) গ্রামের উদ্দেশে ছুটছে রাজধানীবাসী।

শনিবার (১৫ মে) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে গ্রামমুখী যাত্রীদের ভিড়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আন্তঃজেলা বাস ছেড়ে না গেলেও প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চলছে। সেই সঙ্গে পাটুরিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন লোকাল বাস। তবে এসব যানবাহনে উঠলেই গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

পঞ্চগড়ে যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস টার্মিনালে বসে ছিলেন হৃদয় নামে তরুণ। তার সঙ্গে আরও একজন আছেন। হৃদয় জানান, তারা একটা মাইক্রোবাস ঠিক করেছেন। সেটা রংপুর পর্যন্ত যাবে। ভাড়া ঠিক হয়েছে জনপ্রতি ১৪০০ টাকা করে। সেখান থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত যেতে তাদের জনপ্রতি আরও ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

হৃদয় বলেন, ‘আমরা এক সপ্তাহের ছুটি পেয়েছি ঈদে। যানজট, গাড়ি না থাকা, লকডাউনের কারণে যাইনি। ভাবছিলাম ১৬ মে গাড়ি চলবে। কিন্তু চলছে না। ঈদ তো করতে হবে। তাই আজকে এই অবস্থাতেই রওনা দিলাম।’

মুরাদ যাবেন বগুড়ায়। গাবতলী বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গাড়ির সঙ্কট ও যানজটের কারণে আগে যাইনি। বাড়িতে ঈদ করতে পারলাম না। তারপরেও এখন যাচ্ছি। ঈদ না করতে পারলেও বাড়িতে বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী আছে। তাদের সঙ্গে দেখা হবে। এটুকুর জন্যই আজকে রওনা দিয়েছি।’

ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বগুড়া পর্যন্ত হাইএস গাড়িতে ১০০০ টাকা চাচ্ছে। আরও অপেক্ষা করছি, এর চেয়ে কমে পাওয়া যায় কি-না।’

পাটুরিয়া ফেরিঘাট হয়ে এখনও মানুষ ঈদের ছুটি কাটাতে গ্রামে যাচ্ছেন। ঈদের এই সময়ে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে কম যাত্রী থাকায় লোকাল গাড়িগুলো গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ফেরিঘাট রুটে চলাচল করছে।

এদিন সকালে গাবতলী বাস টার্মিনালে মদনপুর থেকে হেমায়েতপুর যাতায়াতকারী রাজধানী পরিবহন এবং নতুন বাজার থেকে ধামরাই বাথুলী যাতায়াতকারী বৈশাখী পরিবহনের অনেক গাড়িকেই পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রী নিয়ে যেতে দেখা যায়। তারা পাটুরিয়া পর্যন্ত জনপ্রতি ২০০ টাকা করে নিচ্ছে।

দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় স্বাভাবিকভাবেই গাবতলী থেকে বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। কিন্তু টার্মিনালের কাছেই পাওয়া যাচ্ছে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল। প্রাইভেটকার দু-একটা বাস টার্মিনালের সামনে দাঁড়ালেও কোনো মাইক্রোবাস সেখানে থাকে না। টার্মিনালের আশেপাশে দাঁড়ানো চালকদের সঙ্গে যাত্রীদের বনিবনা হলে দূরে দাঁড়ানো মাইক্রোবাসগুলো ছেড়ে যায়।

গাবতলী থেকে মাইক্রোবাসগুলোর জন্য যেমন চালকরা যাত্রী সংগ্রহ করেন, তেমনি কিছু লোক আছে যারা যাত্রী সংগ্রহ করে থাকেন। তারা যাত্রীপ্রতি মাইক্রোবাসের চালকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন।

কথা হয় মো. সোহেল নামে এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাজশাহী পর্যন্ত মাইক্রোবাসে জনপ্রতি ভাড়া ১২০০ টাকা। এই ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে দিলে অল্প কিছু টাকা পাই। যাত্রীর কাছ থেকে ১২০০ টাকার বেশি নিতে পারলে তখন বেশি টাকা পাই।’

সোহেল আরও বলেন, ‘ঈদের দিনও অনেক মানুষ গ্রামের বাড়ি গেছে। আজকেও অনেকে যাচ্ছে। তাই যাত্রী পেতে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়