তিন শিক্ষার্থীর অবাক করা আবিষ্কার, চুরি ও ছিনতাই এখন অসম্ভব!
নিউজ ডেস্ক
![তিন শিক্ষার্থীর অবাক করা আবিষ্কার, চুরি ও ছিনতাই এখন অসম্ভব! তিন শিক্ষার্থীর অবাক করা আবিষ্কার, চুরি ও ছিনতাই এখন অসম্ভব!](https://www.somoyekattor.com/media/imgAll/2020April/আলো-2307160511.jpg)
তিন শিক্ষার্থীর অবাক করা আবিষ্কার, চুরি ও ছিনতাই এখন অসম্ভব!
চুরি- ছিনতাই বন্ধ করতে নতুন একটি অবাক করা প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) তিন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা এই স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেমের নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম’। ঐ শিক্ষার্থীরা হলেন- তানভীর আহমেদ, মো. ইয়াসির আরাফাত ও সনৎ কুমার।
জানা যায়, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে মানব জীবনের নিত্য ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসকে চুরি যাওয়া রোধ এবং চুরি হলেও সঙ্গে সঙ্গে খুঁজে পেতে পারবে।
মোবাইলের কথাই ধরা যাক, শখের বা অত্যন্ত দরকারি ফোনটি কোনো পকেটমার, ছিনতাইকারী, চোর নিয়ে যেতেই পারে। তবে আবিষ্কৃত এই ন্যানো চিপটি ব্যবহার করলে সহজেই তা খুঁজে পাওয়া যাবে। বাস-ট্রেন-লঞ্চ কিংবা অন্য কোনো জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় ফোনের মালিকের অজান্তে কেউ তাদের ফোনে হাত দিলে ফোন ভাইব্রেট করা শুরু করবে এবং একটা ভয়েসে বলতে থাকবে- ‘সামওয়ান ইস টাচিং ইউর ফোন’।
শুধু তাই নয়, এই শিক্ষার্থীরা ফোনের সম্পূর্ণ কভারকে টাচ সেনসিটিভ বানিয়েছে। অর্থাৎ যেকোনো অংশে অযাচিত কোনো স্পর্শ পেলেই তা বেজে উঠবে এবং ভাইব্রেট করতে থাকবে। ইউজার বা ওনারের হাতে আঙুলে থাকা ছোট একটি আংটি/ ব্যাসলেট ফোনের কাছে আনলেই ফোনে ইউজার ভেরিফাইড হবে এবং আর কোনো শব্দ এবং কম্পন করবে না।
এছাড়াও ফোনটা যদি কেউ কোনোভাবে চুরি-ছিনতাই করে পালিয়েও যায়, তবে সে মোবাইলে পাওয়ার অফ করতে পারবে না। অথবা মানিব্যাগটি ওপেন করতে পারবে না।
জানা যায়, শিক্ষার্থীরা একটি পাওয়ার কন্ট্রোল সিস্টেমও ডেপলপ করেছেন। যাতে ফোন পাওয়ার অফ কিংবা ফ্ল্যাশ বা কোনো সুইচে চাপ দেওয়ার করার চেষ্টা করলেও কাজ হবে না। শুধুমাত্র প্রকৃত মালিক পাসওয়ার্ড দিয়ে ফোন অন অফ করতে পারবেন। আবার কেউ যদি ফোন ছিনতাই করে পালিয়েও যায়, তাহলে মালিকের অন্য আরেকটি ফোনেও কল চলে যাবে। ছিনতাইকারীর ছবিও মেইলে চলে আসবে। যতবারই ফোন অফ করার চেষ্টা করা হোক না কেন, ততবারই ছবি, লোকেশনসহ মেইলে আসতে থাকবে।
শিক্ষার্থীদের এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল আলম ও বায়ো জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ফজলুল করিম। শিক্ষার্থীরা এই জিনিসটিকে স্মার্ট ফোনে ইনবিল্ড অবস্থায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, শিল্প উদ্দেশ্যে যখন আমরা বেশি পরিমাণে তৈরি কেরতে পারব, তখন এর আকৃতি হয়ে যাবে একটা মেমোরি কার্ডের চেয়েও ছোট। বাড়বে কর্মদক্ষতা, কমবে আকার, কমবে উৎপাদন খরচ, অনায়াসেই কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই প্রযুক্তি মানিব্যাগ, মোবাইলসহ জরুরি কাগজপত্র যেমন সার্টিফিকেট, দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্রের ব্যাগেও সংযুক্ত করা সম্ভব।
- মোবাইলে সহজে এসএসসির ফল পেতে যেভাবে নিবন্ধন করবেন
- এমপিও কোড পেলো মাদরাসা-কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
- এসএসসির ফল জানাতে প্রি-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যা জানালেন সচিব
- এইচএসসির ফল প্রকাশ ডিসেম্বরে, ভর্তি জানুয়ারিতে: শিক্ষামন্ত্রী
- নন-এমপিও শিক্ষকদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চেয়েছে মন্ত্রণালয়
- নতুন ডিগ্রী চালুর অনুমোদন পেল বাকৃবি
- ঢাবিতে নুরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ছাত্রলীগের
- সরকারি টেক্সটাইল কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- এসএসসির ফল প্রকাশ কাল, যেভাবে জানবেন