পাতাল মেট্রোলাইন নির্মাণ কাজের শিগগিরই উদ্বোধন
নিউজ ডেস্ক
![পাতাল মেট্রোলাইন নির্মাণ কাজের শিগগিরই উদ্বোধন পাতাল মেট্রোলাইন নির্মাণ কাজের শিগগিরই উদ্বোধন](https://www.somoyekattor.com/media/imgAll/2020April/-2309170106.jpg)
পাতাল মেট্রোলাইন নির্মাণ কাজের শিগগিরই উদ্বোধন
এবার ঢাকা মেট্রোরেল নেটওয়ার্কের এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। মাটির নিচে এবং উপরে মিলিয়ে ১৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইন ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তকে যুক্ত করবে। শিগগিরই এমআরটি লাইন-৫’র নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাদুর চর, সাভারে হেমায়েতপুরের তুরাগতীরের বিস্তিন্ন ভূমি। কোথায় কোন অবকাঠামো হবে তা নির্ধারণে জরিপকারীদের দম ফেলার ফুরসত নেই। মেট্রোর ডিপো নির্মাণে প্রস্তুত করে আনা হয়েছে ৯৭ একরের এই সবুজ মাঠটি।ডিপো নির্মাণের মধ্য দিয়ে এখান থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে এমআরটি লাইন-৫’র নির্মাণযজ্ঞ। লাইনটির নর্দান ও সাউথর্দান দুই রুটের নর্দান রুটটি আগে নির্মাণ শুরু হচ্ছে।
হেমায়েতপুরের যাদুর চর থেকে এমআরটি লাইন-৫’র নর্দান রুটের উড়াল অংশ শুরু হবে। সেটা আমিন বাজার আসবে, আমিন বাজার থেকে মেট্রোর পাতাল অংশ শুরু হবে। এই পাতাল অংশ তুরাগ নদের তলদেশ দিয়ে গাবতলী মাল্টিমোডাল হাবে পৌঁছবে। তুরাগ নদের এতোটা নিচ দিয়ে এই টানেলটি তৈরি হবে যদি কখনও তুরাগ খননের প্রয়োজন হয় তা টানেলকে ক্ষতি করবেনা। গাবতলি থেকে এই পাতাল মেট্রোটি টেকনিক্যাল, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মিরপুর-১৪ হয়ে কচুক্ষেতে পৌঁছবে। কচুক্ষেত থেকে বনানী, গুলশান-২ হয়ে নতুন বাজার। সেখানে থেকে আবার উড়াল অংশ শুরু হয়ে ভাটারা পর্যন্ত যাবে এই ১৯.৬ কিলোমিটারের উড়াল-পাতাল মেট্রোরেলটি।
উড়াল-পাতালের হিসেব মেলালে হেমায়েতপুর থেকে আমিন বাজার ও নতুন বাজার থেকে ভাটারা- মূল শহরের বাইরে উড়াল অংশ ৬ কিলোমিটার। অন্যদিকে, ১৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার মাটির নিচের অংশ শহরের ভেতরেই থাকছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “যেমন করে কর্নফুলি টানেল তৈরি করা হয়েছে সেভাবে তুরাগ নদের নিচ দিয়ে সেভাবে টানেল হবে। মূল যে তুরাগ নদীটি ছিল সেটা মাথায় রেখে টানেল তৈরি করা হবে।”
লাইনটি মিরপুর-১০ এ এমআরটি লাইন সিক্স এবং নতুন বাজারে লাইন-ওয়ানের সাথে ইন্টার-সেকশান বা আন্ত:সংযোগের পড়বে। প্রকল্পে মোট ১৪টি স্টেশন, এর মধ্যে পাতাল স্টেশন ৯টি। জনভোগান্তি কমিয়ে আনতে ওপেন কাট পদ্ধতিতে স্টেশনগুলো নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যাতে করে জনভোগান্তি কমিয়ে আনা যায়।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “ঢাকা ক্যান্টমেন্টের নিচ দিয়ে ভাটারা পর্যন্ত যাবে। সেখানে থেকে উড়াল হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন। শুভ উদ্বোধনের পর পরই এটার ডিপুর কাজ শুরু হয়ে যাবে।”
এই মেট্রোটি ২০২৮ সালের মধ্যে বাণিজ্যিক পরিচালনায় যেতে চায় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী।
যানজটের নগরী রাজধানী ঢাকার অতিরিক্ত চাপ কমাতে ৬টি মেট্রোরেল দিয়ে একটি মেট্রো নেটওয়ার্ক করার পরিকল্পনা সরকারের। ২০৩০ সালের মধ্যে এই মেট্রোগুলো জনসাধারণের চলাচলের জন্য যখন উন্মুক্ত হবে তাতে রাজধানীর উপর চাপ যখন কমবে ঠিক তেমনিভাবে রাজধানীর বাইরের মানুষ শহরে গিয়ে বা শহরের মানুষ বাইরে এসে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সেরে আবার যার যার গন্তব্যে ফিরে যেতে পারবে। এতে অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে শিল্পায়নের বিকাশ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- Metro-rail brings ease in capital`s nightmare transport system