বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে খালেদা-তারেক দ্বন্দ্ব চরমে
নিউজ ডেস্ক

ফাইল ছবি
দুর্নীতি মামলায় দুই বছরেরও অধিক সময় কারান্তরীণ থাকার পর সরকারের মহানুভবতায় গত বছরের ২৫ মার্চ বিশেষ শর্তে সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মুক্তির পর থেকে অদ্যাবধি তিনি গুলশানের বাসভবনে ফিরোজাতে অবস্থান করছেন। বাসায় অবস্থানকালীন এই সময়ে বিভিন্ন সময় দলের বিগত দিনের অবস্থা ও বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আলাপ করে অনুধাবন করেছেন, তার বিকল্প বিএনপিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই। তাই তিনি পুনরায় দলের ‘প্রাণভোমরা’ হয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। আর এ খবর তারেকের কানে পৌঁছাতেই তিনি পড়েছেন অস্বস্তিতে।
সূত্রটি জানায়, দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল মারফত খালেদা জিয়া জেনেছেন, তিনি জেলে থাকাকালীন সময়ে তারেক রহমান তার মুক্তির ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি। উপরন্তু তার মুক্তি ইস্যুকে কেন্দ্র করে অর্থ বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন। তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে তিনি মোসাদ্দেক হোসেন ফালু, শমসের মবিন চৌধুরী মতো সাবেক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করেন বেগম জিয়া।
আলাপচারিতার পর বিএনপি নেত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি ছাড়া যেহেতু দল অচল, অস্তিত্ব সংকটের মুখে। তাই যা করার, তার নিজেরই করতে হবে। পাশাপাশি জামিনের মেয়াদ শেষে পরবর্তীতে তাকে কারাগারে যেতে হলেও ফখরুলরা যেন দলের দায়ভার নিয়ে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারে তার ব্যবস্থাও করছেন তিনি। আর এই সময় ভুলেও তারেক যাতে দলের ব্যাপারে নাক না গলাতে পারে, সে ব্যাপারেও কঠোর দৃষ্টি রাখতে ফখরুলের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন।
গোপন এই খবরটি লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের কাছে পৌঁছতেই তিনি পড়েছেন চরম অস্বস্তিতে। লন্ডনের কিংস্টনভিত্তিক একটি সূত্র বলছে, তথ্যটি জানার পর থেকেই গভীর চিন্তায় পড়েছেন তারেক। বিষয়টি তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। এ কারণে তিনি সার্বক্ষণিক আপডেট জানতে মির্জা ফখরুলের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে তার মদদপুষ্ট কেন্দ্রীয় দুজন নেতাকে নিয়োগ করেছেন। তারাই তাকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাবে। আর সে মোতাবেক তিনি পরিকল্পনা সাজিয়ে দলের নিজের অবস্থান টিকিয়ে রাখতে আপ্রাণ লড়ে যাবেন।
এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘চোরের দশদিন গৃহস্থের একদিন’ অবস্থা এখন তারেক রহমানের। তার সব অপকর্মের ফিরিস্তি এখন খালেদা জিয়ার হাতে। যার ফলে তিনি নিমিষেই হারাতে পারেন পদ, ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে তার সাম্রাজ্য। এতে দলের একাংশ খুশি হলেও ‘নিকট ভবিষ্যৎ ভেবে’ নির্ঘুম রাত পার করছেন তারেকপন্থীরা। ‘পাপ যে বাপকেও ছাড়েনা তার প্রমাণ হতে যাচ্ছে আরেকটিবার, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
- জাইমা নয়, ইশরাকের পছন্দ জাফিয়া রহমানকে
- ফখরুল বাদ, নেতৃত্বে আসছে রুহুল কবির রিজভী
- আল জাজিরার মিথ্যাচার: বেরিয়ে এলো সামি’র আসল পরিচয়
- রাজধানীর দুই মাদ্রাসা থেকে ৫ শতাধিক ছুরি জব্দ
- বাঙালির ইতিহাসের লজ্জাজনক এক অধ্যায় ছিল জিয়ার শাসনামল
- আন্দোলনের ইস্যু না পেয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি
- বাবুনগরী-মামুনুল হকের ষড়যন্ত্র ফাঁস
- বিএনপির সমস্যা সমাধানে বড় বাধা তারেক
- জামায়াতের পর, এবার হেফাজতকে ব্যবহার করছে বিএনপি
- বিএনপির ইন্ধনে অপকর্মে লিপ্ত শিবির নেতারা!