ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দুর্নীতি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ তারেক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৪, ৯ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না দিতে ওয়াশিংটনে গোপন বার্তা পাঠিয়েছিলেন ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাবশালী নেতা তারেক রহমান ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়েছে উল্লেখ করে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর ওই রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন সাবেক অ্যাম্বাসেডর জেমস এফ মরিয়র্টি।

মরিয়র্টির এই রিপোর্ট নিশ্চয়ই তারেক রহমান সম্পর্কে আমেরিকার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। অন্যদিকে যে ব্রিটেনে তারেক অবস্থান করছেন, সেখানে তিনি ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে তার আয়ের উৎস হিসেবে কী দেখাচ্ছেন, সেটিও একটি বড় প্রশ্ন। তাছাড়া ব্রিটেনে তারেক রহমানের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসবাদের পক্ষে— এমন বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেশী কয়েকটি রাষ্ট্রের চাপও রয়েছে ব্রিটেনের ওপর।

দেশের বেশ কয়েকটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের নাম উল্লেখ করে মার্কিন দূতাবাসের সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ নিয়েছেন তারেক। এছাড়া তারেক ও তার ভাই কোকো সিমেন্সের কাছ থেকে ২ শতাংশ ও হারবিয়ান কোম্পানির কাছ থেকে সাড়ে সাত লাখ ডলার ঘুষ নিয়েছেন।

আবার একটি বড় কোম্পানির মালিকের ছেলেকে তার কর্মকর্তাকে খুন করার মামলা থেকে রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়ে ৩১ লাখ ডলার ঘুষ নিয়েছেন তারেক। তারা জিয়া অরফানেজ থেকে লুট করেছেন দুই কোটি টাকা। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সব কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলেও ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

সরকারি ক্রয় এবং রাজনৈতিক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই ঘুষ চাইতেন তারেক। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ কেলেঙ্কারি, অর্থ আত্মসাৎ ও কর ফাঁকি অনেক মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও তিনি মুক্তি পেয়েছেন। সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে গভীর আঁতাতের মাধ্যমে তারেক বিচার প্রক্রিয়ায় কারসাজি করে জামিন নিয়ে পালিয়ে যায়।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি ডলার অর্জনের দায়ে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। তারেকের বিরুদ্ধে কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে। যেগুলো বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে।

এসব ঘুষ ও চাঁদাবাজির বাইরেও তারেক ব্যাপক অর্থ তছরুপে জড়িত ছিলেন। কয়েকজন সহচরের মাধ্যমে তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ফান্ডের ৩ লাখ ডলার আত্মসাৎ করেন।

দুদকের বরাতে মরিয়ার্টি আরও বলেন, তারেক ছিলেন ওই তহবিলের সহ-স্বাক্ষরদাতা। ওই ফান্ডের অর্থ দিয়ে তিনি নিজ শহরে একটি জমি কিনেছেন। এছাড়া ওই তহবিলের অর্থ তিনি ২০০৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সদস্যদের মধ্যেও বিলি করেছেন।

আরও বলা হয়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মধ্যে ছিল আরেক `ছায়া সরকার`। হাওয়া ভবনে বসে এ সরকার চালাতেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন দল ও জোটের উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েক নেতা।

উল্লেখ্য, তারেককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জন্য বিপদজ্জনক, সেদেশে প্রবেশের অনুপযুক্ত ঘোষণার মতো এর আগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদী আর বিএনপির প্রিয় পুলিশ অফিসার কোহিনুর মিয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্য।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়