বিএনপিকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে প্রবঞ্চনা দিয়েছে আসিফ নজরুল

নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত নাম আসিফ নজরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক তিনি। শিক্ষকতার মুখোশে এক নিপাট ভণ্ড। রাজনীতিতে না জড়িয়েও কিভাবে রাজনীতিকদের নাটাইয়ে বাঁধা ঘুড়ির মত খেলানো যায় তার নাটের গুরু এই শিক্ষক। সমর্থন করেন সামরিক ছাতার নিচে জন্ম নেয়া ক্ষমতালোভী দল বিএনপিকে। শুধু তাই নয়, বিএনপির বিভিন্ন অপরাধের সাফাই গেয়ে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শিবিরঘেঁষা এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমেছে অভিযোগের পাহাড়ও। এমনকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান না বলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রোশ প্রকাশ করেন। যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাইদির পক্ষে সাফাই গেয়ে দেশকে পাকিস্তান বানানোর পাঁয়তারা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। অপরাধে মোড়া এই দেশদ্রোহীকে নানা সময়ই ইনিয়ে বিনিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের হয়ে সাফাই গাইতে দেখা গেছে।

বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী উন্নয়নবান্ধব আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে দেশবিরোধী শক্তির সাথে আঁতাত করে বলে অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। তার নির্দেশনা ও পরামর্শে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করে জনবিচ্ছিন হয়ে পড়া এই দলটি। সম্প্রতি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ইস্যুতে একের পর এক মিথাচার করে বিএনপিকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে প্রবঞ্চনা দিয়েছেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও মূল্যস্ফীতি দিবালোকের মতো সত্য। আর এই সত্যকে বিকৃত করে জনসম্মুখে উপস্থাপন করে তিনি স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াত চক্রের তাঁবেদারি করছেন। দেশবিরোধী শক্তির পা চাঁটা গোলাম হয়েও জনসম্মুখে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, তিনি ধোয়া তুলসী পাতা। বাকীরা সব দোষী। কিন্তু আসলেই কি তাই!

মত প্রকাশের নামে ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যমে রাষ্ট্র, সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নগ্ন আক্রমণ করে তাদের সম্মানহানির অপচেষ্টায় লিপ্ত এই আসিফ নজরুল। এর আগে সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের ময়নাতদন্ত নিয়ে বারবার এডিট করে ফেসবুকে তথ্য বিকৃতি করে সমালোচনার মুখেও পড়েন। শুধু তাই নয়, নিজের এসব অপকর্মের কথা বিভিন্ন সময় ঘরোয়া আয়োজনে বলতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না।

এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসিফ নজরুলের লাম্পট্য নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। এ কথা সবাই জানেন। তার রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অবিলম্বে সমুচিত সাজা হওয়া উচিত। নতুবা তার মতো অর্বাচীনরা দিনের পর দিন মূর্খতার পরিচয় দিয়ে এহেন ন্যক্কারজনক কাজ করবেন।