বরিশালে আম্ফানের প্রভাবে ৮৩ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া
নিউজ ডেস্ক
সময় একাত্তর
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ২১ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বরিশালে ৮৩ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার রেকর্ড করা হয়েছে। বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় বাতাসের স্বাভাবিক গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে।
জেলার কয়েকটি উপজেলায় বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ এখনো পাওয়া যায়নি। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টায় পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত বিশ্বাস জানান, ১০ উপজেলার ৭ শ’ ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ১ হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ ২০ হাজার ৯০ জন মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি ২ হাজার ৪ শ’ ৯৯টি গবাদিপশু আশ্রয় কেন্দ্রে উঠানো হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১ টায় থেকে বরিশাল নগরীতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হলে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়।
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় এমপি পঙ্কজ দেবনাথ মেঘনা তীরবর্তী এলাকার জেলে ও কৃষক পরিবারদেরকে মাইকিং করে নিরাপদ হেফাজতে নিতে সারাক্ষণ কাজ করেছেন।
এমপি পঙ্কজ দেব নাথ জানান, মেঘনার উপকুলীয় চর এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি সাধারণ মানুষসহ তাদের মালামালের নিরাপদ রাখার সর্বাত্বক চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মেহেন্দিগঞ্জের শ্রীপুর এলাকা একটু দুর্গম হলেও সেখানে তার লোকজন প্রশাসনের লোকজন নিয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাবার কাজ করেছেন।
হিজলা উপজেলার নৌ পুলিশের ওসি শেখ বেলাল আহমেদ জানান, হিজলা উপজেলাটি মেঘনা নদী ঘেষা হওয়ায় নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কাজ করেছেন।
বিভাগে ১০ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান আঘাত হানতে বিলম্ব হওয়ার খবরে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের মধ্যে অনেকেই বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচির (সিপিপি) উপ পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, বরিশালে বৈরি আবহাওয়া না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যারা এসেছেন তাদের বাড়িঘর আশপাশে হওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের খবর ভোর থেকেই মেগাফোনে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রচার করছে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা।
উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়ের লক্ষ্যে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খোলা রাখার অনুরোধ জানান বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস।