জামায়াতের পর, এবার হেফাজতকে ব্যবহার করছে বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ২ এপ্রিল ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

২০০১ সালের সূক্ষ্ম কারচুপির নির্বাচনে জামায়াতের ওপর ভর করে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। এরপর বিভিন্ন ইস্যুতে তারা মাঠ গরম করতে লেলিয়ে দিতো জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের। যার ভয়াবহতা বাংলাদেশের দেখেছিলো ২০১৩-১৪ সালে বিএনপির ইন্ধনে জামায়াতের পেট্রোল বোমার সহিংসতা। বর্তমানে জামায়াত পরিত্যক্ত হয়ে যাবার কারণে এবার বিএনপির টার্গেট হেফাজতে ইসলাম।

মূলত ২০১৫ সালের ইসলামের দোহাই দিতে হেফাজতকে ব্যবহার করার পর সিটি নির্বাচনে জয়ী হয় বিএনপি। এরপর থেকেই লাগাতার হেফাজতকে ব্যবহার করে আসছে বিএনপি। আর এ কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফী মারা গেলে বিএনপি রাজনীতি করে নিজেদের কমিটি বসিয়ে নতুন আমির হিসেবে জুনায়েদ বাবুনগরি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মামুনুল হককে নিয়োগ দেয়। যাদের কাজ হচ্ছে ধর্মীয় ইস্যু উস্কে দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রদের মাঠে নামানো। আর সেই সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের কাজ হচ্ছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করা।

যার প্রমাণ হিসেবে আমরা দেখি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মোদির আগমনকে ঘিরে ২৬শে মার্চ জুমার নামাজের পর পরই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মুসল্লিরা। এ সময় মুসল্লিদের বেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হাজার হাজার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত করলে পরে জানা যায়, সাধারণ মুসল্লিদের বেশ ধরে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে নিজেদের দলীয় ফায়দা লুটতে মূলত হেফাজতের বেশ ধরে পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্টরা।

আর এর প্রমাণ স্বরূপ সে দিন সন্ধ্যায় বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায়ের ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে তাকে স্পষ্ট দেশের জনগণের বাস পুড়িয়ে দেবার নির্দেশনা দিতে শোনা যায়।

বিষয়গুলো বিবেচনা করে হেফাজতে ইসলামকে সরাসরি ব্যবহার করছে বিএনপি। ফলে হেফাজতের উচিত হবে, যেনে শুনে ফাঁদে পা না দেয়া।