বৈজ্ঞানিক উপন্যাস: গ্রাফিতিরা জেগে রয়

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ১২ এপ্রিল ২০২১ সোমবার

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

শাহরিয়ার জাওয়াদ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। এবারের বইমেলায় তার প্রথম বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর উপন্যাস ‘গ্রাফিতিরা জেগে রয়’ প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী আর প্রচ্ছদ করেছেন খ্যাতিমান শিল্পী ধ্রুব এষ। 

উপন্যাসের গল্প সাজানো হয়েছে সমান্তরাল মহাবিশ্ব বা প্যারালাল ইউনিভার্সের ওপর ভিত্তি করে। এখানে যেমন এসেছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কথা, তেমনি এসেছে কঙ্গোর গহীন বনভূমির কথা। সেখানকার উপজাতি বান্টু আর পিগমিদের কথা। লিখতে চেষ্টা করেছেন অন্যভুবনের গল্প। সময়- অন্যসময়ের গল্প। আমাদের চেনা-অচেনা পৃথিবীর বুকে কয়েকজন মানুষের জীবনের গল্প। বিজ্ঞান আর কল্পনাকে আশ্রয় করে লেখা এই উপন্যাসটি পড়তে পড়তে পাঠক খুঁজে পাবেন, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর ছকেবাঁধা গণ্ডির বাইরে গিয়ে এটা বরং একজন রায়হানের গল্প।

কাদের অনুপ্রেরণায় বইটি লেখা? জাওয়াদ বলেন, এক্ষেত্রে, সত্যি বলতে আমার নিজের অনুপ্রেরণা আমি নিজেই দিয়েছি। আমাদের সোসাইটিটা এমন, সাধারণ ক্ষেত্রে এখানে আশেপাশের মানুষজন একটা ভালো সরকারি চাকরি ছাড়া আর কোনো বিষয়েই বাহবা দেন না। আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে এই জিনিসটা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাদের কাছে অঅর্থনৈতিক সক্ষমতাটা সবসময় একটা মুখ্য বিষয় হয়ে থাকে। তবে, আমার মা-বাবা, আমার কয়েকজন বন্ধু এবং শুভাকাঙ্ক্ষী বই লেখার ব্যাপারে আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। এই কাছের মানুষগুলোর কাছে আমি অসম্ভব রকমের কৃতজ্ঞ। 

লেখক বলেন, আমি তো শূন্য থেকে সবকিছু শুরু করা মানুষ। খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না। আমার লেখা পড়ে, আমার ডেডিকেশন দেখে শদ্ধেয় প্রকাশক শাহীদ হাসান তরফদার আঙ্কেল এই করোনার মাঝেও আমার উপন্যাসটি প্রকাশ করতে আগ্রহী হন। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব, আমি ঠিক ততটাই চেষ্টা করে গিয়েছি। আমার লেখা বইয়ের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন ‘গ্রাফিতিরা জেগে রয়’ এর প্রথম মুদ্রণ প্রায় শেষ। বইটির শুধু কিছু কপি বাকি আছে অনলাইন বুকশপ রকমারি ডট কম, বুক এক্সপ্রেস এবং পিয়নে। এই তিনটি বুকশপ থেকে বইটি সংগ্রহ করতে পারেন যেকেউ।

শাহরিয়ার জাওয়াদ লেখালেখির পাশাপাশি জড়িত আছেন সামাজিক সংগঠন এবং নানামুখী সৃজনশীল কার্যক্রমে। জীববিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠন করেছেন ‘বায়োলোজি ফ্যাকাল্টি কো-কারিকুলার সোসাইটি’। এছাড়াও ‘প্রাণবার্তা’ নামের একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনার দায়িত্বও পালন করছেন।