ফখরুল বনাম রিজভী দ্বন্দ্ব থেকে বেরুতে পারছে না বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমছে না। মূলত জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর থেকেই দলটির অভ্যন্তরে বিভিন্ন সময়ে অন্তর্কোন্দল বৃদ্ধি পায়। যার রেশ ধরে ২০০৭ সালে মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে বিএনপিতে সংস্কারপন্থী দল তৈরি হয়। এরপর থেকে ক্ষমতায় আসতে না পারলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে কখনোই বের হতে পারেনি বিএনপি।

সর্বশেষ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিএনপি মহাসচিব করার পর যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও মির্জা ফখরুলের দ্বন্দ্ব বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্য রূপ নেয়।

সূত্র বলছে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা এবং ছাত্রদলের ২০ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করার পর নয়াপল্টন কার্যালয়ে রিজভী আহমেদ বহিষ্কৃত কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠক করলে বিষয়টি বিএনপি মহাসচিবের কানে গেলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিজভীর উপর। ১০ জুন সন্ধ্যায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সৌজন্য সাক্ষাত করেন রিজভী আহমেদের সাথে। এসময় বহিষ্কৃত দুজন নেতাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, নয়াপল্টন কার্যালয় থেকেই ফোনের মাধ্যমে দ্রুত সংবাদটি চলে যায় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের কানে। তখন মির্জা ফখরুল ফোনকারীকে বলেন, বিএনপির জন্য এখন সবচেয়ে বড় আপদ হচ্ছে রিজভী। বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তিনি রিজভী আহমেদকে দায়ী করেন।

এদিকে বিএনপির একটি সূত্র জানায়, রিজভী আহমেদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে বসেই দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে রিজভী আহমেদ যা করেন তার অনেক কিছুতেই অবগত থাকেন না মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

বিএনপির উক্ত সূত্রটি জানায়, যেহেতু রিজভী আহমেদ সরাসরি তারেক রহমানের বিশ্বস্ত সে কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ টু শব্দটি করার সাহস রাখে না। যার কারণে দূর থেকেই রিজভীকে আপদ বলেছেন মির্জা ফখরুল। তবে রিজভী আহমেদকে আপদ বলে নিজের ঘাড়ে কোন বিপদ-আপদ ফখরুল ডেকে আনলেন কি না, এমন গুঞ্জনে ভারি হয়ে উঠেছে বিএনপির রাজনীতি।