ছয় দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রামের চিন্তার ফসল: আমু

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ১০ জুন ২০২১ বৃহস্পতিবার

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, ৬ দফা ছিল বঙ্গবন্ধুর আজীবন সংগ্রাম ও চিন্তার ফসল। নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত বাঙালির আত্মঅধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ৬ দফা প্রস্তুত করেছিলেন।

বুধবার ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় জনগণকে ৬ দফার স্বপক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর ধারাবাহিকতায় ধাপে ধাপে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত ৬ দফাই ছিল মূলত বাঙালির মুক্তির সনদ।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৬ দফার মধ্যেই নিহিত ছিল স্বাধীনতার বীজ। সুপ্ত ছিল বাঙালির আত্মমর্যাদায় বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা।

দলটির অপর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি চিরঞ্জীব নক্ষত্র, যার নির্দেশিত পথে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বাঙালির শতভাগ পূর্ণ কর্তৃত্ব ও স্বায়ত্তশাসনের প্রতিষ্ঠা প্রস্তাব ছিল বঙ্গবন্ধুর ৬ দফায়।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা জন্মগ্রহণ করার কারণেই স্বাধীনতা পেয়েছে বাঙালি। তা না হলে এ স্বপ্ন পূরণ অসম্ভব হয়ে পড়তো।

জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, মাথাপিছু আয়ে বাংলাদেশ আজ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা আরো ২৫ বছর আগেই সম্ভব হতো।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।