মাগুরায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি পেলেন সেই রহিমা বেগম

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৩:০১ পিএম, ২১ জুন ২০২১ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে চার বছরের শিশু নিয়ে বিপাকে পড়া ঘরহীন সেই রহিমা বেগম অবশেষে সরকারি ঘর ও জমি পেলেন।
রোববার (২০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (২য় পর্যায়) উদ্বোধন করেন।

সারা দেশের ন্যায় মাগুরা সদর উপজেলায় ৩৫টি, শ্রীপুর উপজেলায় ৪০টি, মহম্মদপুরে ৪০টি ও শালিখা উপজেলায় ৮০টি মোট ১৯৫টি ঘর দেওয়া হবে। 

এই ১৯৫টির মধ্যে একটি ঘর বরাদ্দ পান রহিমা। তাকে নিয়ে ‘আপনেরা আমার এইটুক দ্যাখপেন না যে আমি একটা মেয়ে’ শিরোনামে ১৮ জুন স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাড়া পড়ে। মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল অসহায় রহিমাকে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা জানান।

রহিমার পৈত্রিক ঠিকানা মহম্মদপুর উপজেলার তেলিপুকুর গ্রামে। তার বাবার নাম আলীম শেখ। পাঁচ বছর আগে তিনি মারা যান। 

ঘর পেয়ে রহিমার চোখে আনন্দের অশ্রু। তার খুশি আর ধরে না। তিনি বলেন, ‘আমার দোনেয় কেউ নাই, এহন মাথা গুজার ঠাই হলো। এহন আর কেউ খেদাতি পারবেন না। এহন বাচ্চাডারে নিয়ে রাত্রিরি থাকতি পারবানি।’ 

রহিমা জানান, স্বামী তাকে নির্যাতন করতেন, তাই গর্ভে সন্তান নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসেন। স্বামী আর খোঁজ নেয়নি। দেড় বছর আগে মা মারা গেছে। বাবার ঘর ছিল না, যে সেখানে আশ্রয় নেবেন। আশ্রয় না থাকায় অনেক রাত হাসপাতালের বারান্দায় বাচ্চাকে নিয়ে খালি কাপড়ে শুয়ে থেকেছেন।

রহিমা বলেন, চার বছর আগে নেত্রকোনা থেকে মহম্মদপুরে শ্রমিকের কাজ করতে আসা আজিজুল শেখের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী-সন্তান রেখে আজিজুল উধাও হয়ে যায়। তেলিপুকুর গ্রামে বাবার চার শতক জমি তার দুই ভাইয়ের দখলে। নিরুপায় হয়ে আশ্রয়ের জন্য পথে পথে ঘুরেছেন। 

মহম্মদপুর সদরের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ঘরহীন রহিমার কষ্ট লাঘব হওয়ায় তার সঙ্গে আমরাও খুশি।’ মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রামানন্দ পাল বলেন, ‘রহিমাকে ঘর দিতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগছে।’