উশৃঙ্খল ছাত্রদলকে নিয়ে বিব্রত বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৩:৪৬ পিএম, ২৯ জুন ২০২১ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ওমর ফারুক কাওছার ও তার দলবলের তোপের মুখে পড়েতে হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। বিষয়টি গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার সামিল। সঙ্গে চরম মাত্রার বেয়াদবি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

বিশ্লেষকদের মতে, যারা ক্ষমতার বাইরে থেকে নাগরিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা করে। তারা ক্ষমতায় গেলে নিশ্চয় জনমানুষের জিব টেনে ছিঁড়ে ফেলতে পারে। বিষয়টি ছাত্রদলের উগ্রতার প্রমাণ দিয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুকের বাবা একাত্তরের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, শুনেছি ওমর ফারুকের বাবা ‍রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাঈদির সহচর ছিলেন। এর বেশি কিছু আমি জানি না। তবে ওমর ফারুক জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের সঙ্গে যা করেছে, তা মোটেও সমর্থন যোগ্য নয়। সিনিয়র মানুষ একটা কথা বলতেই পারে, তার মানে এই নয় যে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে হবে। তাছাড়া জাফরুল্লাহ সাহেব যা বলেছেন, তা বিএনপির ভালোর জন্যই বলেছেন। তারেক রহমান চাইলেই লন্ডনে একটু পড়ালেখা করতে পারেন। এতে তিনি দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন বলে আশা করি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কথার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য আমীর খসরু বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেব যা বলেছেন তা মোটেও উচিত করেননি। আমাদের নেতা তারেক রহমান সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে। তাকে আমরা রাজার মতো সম্মান করি। মনে রাখতে হবে, তারেক রহমানের কথা ছাড়া, বিএনপির একটি পাতাও নড়চড় করে না। সেই তারেক রহমানকে নিয়ে কথা বললেও মোটেও মেনে নেব না।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ আরাফাত বলেন, ছাত্রদলের উগ্রতা বেড়েই চলেছে। বোঝাই যাচ্ছে তারা দেশের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে রাজনীতি করেন না। অপরদিকে আমীর খসরুর মতো কিছু নেতা, তাদের সমর্থন দিচ্ছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। এমন বেয়াদবির রাজনীতি করলে, আগামী ৫০ বছরেও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলে মনে হচ্ছে।