হেফাজত আবারো দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করছে

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ১১:৩৯ এএম, ৩০ জুন ২০২১ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানোর পর চাপের মুখে কিছুদিন চুপ থাকলেও আবারো মাথা তোলার চেষ্টা করছে হেফাজতে ইসলাম।

গত রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আবারো দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানোর হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এ সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের চিন্তা করছে বলে জানা গেছে।

ওই বিবৃতিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় জেলে আটক রয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলে এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রকৃতপক্ষে এ বিবৃতির মাধ্যমে সরকারকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন বাবুনগরী। নেতাদের না ছাড়লে আবারো দেশব্যাপী তাণ্ডব চালাবে হেফাজত- এমন কথাই একটু ভিন্ন সুরে বলেছেন তিনি। তবে বাবুনগরীর এমন হুমকির পর সরকারও নড়েচড়ে বসবে। হেফাজতের মতো সহিংস সংগঠনকে খুব তাড়াতাড়ি নিষিদ্ধ করা উচিত।

তারা আরো বলেন, কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা আগমনকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব চালায় হেফাজত। এরপর মামুনুল হকসহ হেফাজতের উগ্র নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। সে সময় সংগঠনটির নেতারা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না হওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু বাবুনগরীর মন্তব্যে আবারো প্রমাণ হলো, তারা সময়ের অপেক্ষায় থাকে। তাদের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তি জড়িত। তাই এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিকল্প নেই।

এদিকে সোমবার জাতীয় সংসদেও দাবি উঠেছে হেফাজত নিষিদ্ধের। সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন। স্বাধীনতা দিবস ওরা সহ্য করতে পারে না, ওদের বুকে ব্যথা লাগে। কথা নাই, বার্তা নাই বায়তুল মোকাররমে জমা হয়ে তাণ্ডব চালায়। সেখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারেন না। বায়তুল মোকাররমে এ ধরনের সমাবেশে নিষিদ্ধ করা উচিত। তারা বায়তুল মোকাররমকে প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছে। এ হেফাজতে ইসলাম ছিল স্বাধীনতাবিরোধী নেজামে ইসলামি।

মানুষ মেরে এরা ইসলামকে হেফাজত করবে কীভাবে- এমন প্রশ্ন রেখে শেখ সেলিম বলেন, এটা জঙ্গি সংগঠন, এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যেভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হয়েছে, সেভাবে এদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, সরকার প্রথমে ভেবেছিল উগ্র নেতাদের সাজা দিলে হয়তো হেফাজত শোধরাবে। কিন্তু এমন সহিংস সংগঠন কখনো শোধরায় না। বাবুনগরীর মন্তব্যই তার প্রমাণ। তাই হেফাজতকে নিষিদ্ধের এটাই সঠিক সময়।