দুই কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে আওয়ামী লীগ: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৯:৪১ এএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪১ এএম, ৫ জুলাই ২০২১ সোমবার

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দুর্যোগের সময়ে আওয়ামী লীগ দুই কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাসহ করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম দফায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সারাদেশে লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এক কোটি ২৫ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দুই কোটি মানুষের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল করেনি। 

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহামারির প্রথম দিকে ফটোসেশন করেছে। কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অনেক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও এনজিও রয়েছে। সেই এনজিওগুলো ১০ জনকে কিছু খাদ্য বা সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সেটির ছবি তুলে সুন্দর করে দেখায়। সেগুলো আবার বিদেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে পাঠায়। তাদের কেউ কেউ টকশোতে সরকারের সমালোচনা করে কথা বলে। এ সমস্ত সংগঠনকে এখন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাদের সমালোচনা বন্ধ হয়নি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের যখন দূরবীন দিয়ে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের পাশে রয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে হাজারো নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেক এমপি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন, যা অন্য কোনো দলের ক্ষেত্রে হয়নি। এজন্য আওয়ামী লীগ থেকে অনেক রাজনৈতিক দলের শেখা উচিত।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতারা এখন শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত। তারা খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কথা বলছেন। দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।

ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। কেন্দ্রীয় কমিটির বেশিরভাগ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে একাধিকবার আক্রান্ত হয়েছেন। সারাদেশে প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবুও ভয়কে জয় করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বেগম রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।