করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৯:২৫ এএম, ১৫ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা পুরো দেশ। প্রতিদিন ভাঙছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড। করোনা সংক্রমণ এড়াতে চলমান শাটডাউনে সরকারি বিধিনিষেধে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ।

এমন পরিস্থিতিতে দরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ১০ হাজার দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

জেলা সদরের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জেলাজুড়ে খাদ্যসহায়তা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রত্যাবাসন শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের পুনর্বাসনবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

কর্মসূচিতে সংসদ সদস্য বলেন, ‘করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে অসহায় হয়ে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। তাদের সহায়তা করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের অর্থায়নেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।’

এ সময় সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ মাস্ক পরার আহ্বান জানান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এর আগে, দীঘিনালা উপজেলায় ১০০ দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের গুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে কর্মহীন ওই পাহাড়ি ও বাঙালি পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনাল স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন সিয়াম আহমেদ।

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি করে ডাল, আলু, পেঁয়াজ, এক লিটার তেল, ৫০০ গ্রাম করে চিনি ও লবণ।

ক্যাপ্টেন সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে ত্রাণ বিতরণ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দীঘিনালা জোনের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। ভবিষ্যতেও আমাদের এরূপ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এ ছাড়া সরকারি উদ্যোগে জেলার মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি, রামগড় ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় নিম্ন আয়ের পাঁচ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।