ওমিক্রন ডেল্টার মতো মৃদু নয়: ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ৭ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস

২০২০ সালের অক্টোবরে ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনার অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার মতো ভয়ানক না হলেও ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রন মৃদু নয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলছেন, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে মৃদু ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য।

২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালায় ভাইরাসটি। পরে ভাইরাসটির বেশ কয়েকটি ধরন শনাক্ত হয়। সেই ধরন বা প্রজাতিগুলো বিশ্বজুড়ে আধিপত্য বিস্তার করে। গ্রীক বর্ণমালা অনুসারে এই ধরনগুলোর নাম দেওয়া হয় আলফা, বিটা, গ্যামা, ডেল্টা, কাপ্পা ও ল্যাম্বডা।

তার মধ্যে গত বছরের অক্টোবরে ভারতে শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ধরনটি সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ছিল। কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রম শনাক্ত হয়। ডেল্টার চেয়েও বেশি সংক্রামক ধরনটি দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ওমিক্রন শনাক্তের পর ভাইরাসটির প্রকোপ সারা বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, কোভিডের আগের ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় ওমিক্রনে লোকজনের গুরুতর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা অপেক্ষাকৃত কম। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুসের তথ্যমতে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ৭১ শতাংশ বেড়েছে। আর আমেরিকা অঞ্চলের দেশগুলোতে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১০০ শতাংশ।

করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনকে মৃদু বা হালকা বলার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনার ধরনটি বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে।

টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলছেন, যারা ইতোমধ্যেই টিকা নিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন কম ক্ষতিকারক হিসেবে দেখা দিলেও ভ্যারিয়েন্টটিকে মোটেই মৃদু হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।

ডব্লিউএইচও মহাপরিচালকের মতে অন্য ভ্যারিয়েন্টদের মতো ওমিক্রনও মানুষকে হাসপাতালে যেতে বাধ্য করছে, এমনকী মানুষ মারাও যাচ্ছে। আসলে এতো তাড়াতাড়ি এবং বিশাল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন যে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ওপর চাপ বাড়ছে।