জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৯:৩৭ এএম, ৩০ অক্টোবর ২০২২ রোববার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত

আন্তর্জাতিক সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আলোচনা সভা এবং সাদাছড়ি ও রাইটিং ফ্রেম বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিজেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ডিডিএইচআরও)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য একটি কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগে হুইল চেয়ার নিয়ে ওঠা যায় না। আমি ইঞ্জিনিয়ারকে এটি নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। আমরা যদি সবাই সচেতন হই, তাহলে এসব মানুষের জীবন অনেক সুন্দর হবে। পাশাপাশি বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে। তাদের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানদের লেখাপড়া করাতে হবে। যাতে তারা সম্পদে পরিণত হয়।

অনুষ্ঠানে ডিডিএইচআরও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রুকন উদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলকামা আজাদ, জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমন মাহমুদ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনৌজ কান্তি রায় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সরকারের কাছে দৃষ্টিহীনসহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও মানুষের জন্য বেশকিছু দাবি পেশ করেন ডিডিএইচআরও নেতারা।

এসব দাবিগুলো হলো- দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি আধুনিক ও মানসম্মত অডিও লাইব্রেরি স্থাপন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ব্রেইল পদ্ধতিতে সব পরীক্ষা প্রদানের সুযোগ, সব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রত্যেক হলে বিশেষ সুবিধা প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক, আবাসিক ও একাডেমিক ভবনসমূহে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ ব্যবস্থা, ক্যাম্পাসে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা, সারা দেশে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা, সারা দেশে প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়কে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করা, প্রতিবন্ধীতার মাত্রা ও ধরণ অনুসারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।