সাহসী নারীদের সংগ্রামেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে : স্পিকার

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২২ রোববার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সমাজের নানা ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাহসী নারীদের সংগ্রামেই দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীরা সমাজ বিনির্মাণের লক্ষে আর্ত-মানবতার সেবায় সর্বদা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকারও তাদের পৃষ্টপোষকতা দিচ্ছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদ আয়োজিত স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদের সভাপতি ড. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও উপ-উপাচার্য মো. জাহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নাজমুল করিম মানিক, অধ্যাপক ডা. লতিফা শামসুদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্পিকার বলেন, ডা. জোহরা কাজী দীর্ঘ, বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবনে একাগ্রভাবে আর্ত-মানবতার সেবায় কাজ করে গেছেন।

তিনি ভাষা আন্দোলনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছেন। ঢাকা মেডিক্যালে তিনিই প্রথম মহিলাদের আলাদাভাবে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী পরিষদের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হলে, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সফল কর্মের মাধ্যমেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ডা. জোহরা কাজী বেঁচে থাকবেন। তাঁর আদর্শে চিকিৎসকরা অনুপ্রাণিত হলে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সূচকগুলো অর্জন করা সম্ভব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরে নারীরা সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সরাসরি নির্বাচিত হয়ে ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাধ্যমে নারীরা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করারও সুযোগ পাচ্ছেন। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডা. জোহরা কাজী মা ও প্রসূতি চিকিৎসায় সারাজীবন কাজ করছেন। তার অবদানের কথা স্মরণ করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মা ও প্রসূতি বিভাগের ওয়ার্ডকে অধ্যাপক ডা. জোহরা কাজী ওয়ার্ড নামকরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে স্পিকার অধ্যাপক ডা. জোহরা বেগম কাজী স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।