সহজ হচ্ছে জার্মানিতে অভিবাসীদের বসবাসের আইন

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২২ সোমবার

সহজ হচ্ছে জার্মানিতে অভিবাসীদের বসবাসের আইন

সহজ হচ্ছে জার্মানিতে অভিবাসীদের বসবাসের আইন

অভিবাসন আইন সংস্কার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বসবাসের অনুমতি পাওয়ার অধিকার বা চান্সেন আউফেন্ট বাল্টরেশট নামে জার্মান পার্লামেন্টে একটি বিল পাশ করেছেন আইনপ্রণেতারা। আইনটি সংস্কারের এ উদ্যোগ নিয়েছে জার্মানির ক্ষমতাসীন জোট সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি), গ্রিন পার্টি ও ফ্রি ডেমোক্র্যোটিক পার্টি (এফডিপি)।

নতুন এ আইনের আওতায় ডুলডুংধারী বিদেশিরা জার্মানিতে পাঁচ বছর ধরে অবস্থান করছেন তাদের ১৮ মাস থাকার অনুমতি দেওয়া হবে। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বসবাসের সময়সীমা পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে এ আইনের আওতায় তারা  সুবিধাটি পাবেন। তবে কারো বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত না থাকার প্রমাণ থাকতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদে দেশটিতে থাকতে এ ১৮ মাস সময়ে প্রয়োজনীয় ভাষাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের জীবিকার ব্যবস্থাও করতে হবে।

তবে নতুন আইন অনুযায়ী, ১৮ মাসের সুযোগ আর বাড়ানো হবে না। অর্থাৎ, এ সময়ের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে থাকার শর্ত পূরণ করতে না পারলে তাকে ডুলডুং ক্যাটাগরিতে ফেরত যেতে হবে।

তাছাড়া নতুন আইনে জার্মানির আশ্রয় আবেদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা বিএএমএফ আর আবেদনকারী ব্যক্তির আন্তর্জাতিক সুরক্ষার বিষয়টি নিয়মিত যাচাই-বাছাই করবে না। শুধু প্রয়োজন হলে অর্থাৎ আবেদনকারী ব্যক্তির দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি ঘটলেই কেবল এ বিষয়টি যাচাই করা হবে।

গত শুক্রবারের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটে ৩৭১ জন বিলের পক্ষে ভোট দেন। ২২৬ জন সংসদ সদস্য বিলের বিপক্ষে এবং ৫৭ জন ভোট দানে বিরত থাকেন।

সরকারের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের শুরু পর্যন্ত জার্মানিতে ডুলডুং নিয়ে বসবাসরত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৪২ হাজার। তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৩৭ হাজার জনের বসবাসের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।

সরকারের ধারণা, নতুন আইনের আওতায় মোট ৯৮ হাজার জন চান্সেন আউফেন্ট বাল্টরেশট বা ১৮ মাসের ভিসার সুবিধা পেতে আবেদন করতে পারে। তার মধ্যে ৩৩ হাজার ৫০০ জন দীর্ঘমেয়াদে দেশটিতে থাকার অনুমতি পেতে পারেন।

উল্লেখ্য, ‘ডুলডুং’ হচ্ছে একধরনের সাময়িক থাকার অনুমতি যা অনিয়মিত অভিবাসীরা জার্মানিতে কিছুদিন থাকতে পারেন। এটি দেশটিতে নিয়মিত বসবাসের কোনো অনুমতিপত্র নয়। স্বদেশে ফিরে যাওয়ার শর্তে কিছুদিন জার্মানিতে থাকতে দেওয়া হয়। তবে এ সুযোগ অনেকের ক্ষেত্রে কিছুদিন পরপর বাড়ানো হয়।  

আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আবেদন বাতিল হওয়া বা যারা জার্মানিতে থাকার পূর্ণ অনুমতি পাননি সাধারণত তাদের ডুলডুং দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এমন মানুষরা গুরুত্ব পান যাদের আশ্রয় আবেদন বাতিল হলেও দেশে ফেরত পাঠানো নিরাপদ নয়। আশ্রয়প্রার্থী অন্তঃসত্ত্বা নারী কিংবা আশ্রয়ের আবেদনের পর যারা পড়াশোনা বা কোনো প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তাদেরও ডুলডুং দেওয়া হয়।