বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল জিয়া

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

জিয়াউর রহমানই এই দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান যুক্ত ছিল এবং বঙ্গবন্ধুর লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করে সে সেনাবাহিনী প্রধান হয়েছিল।

সম্প্রতি সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সেনা কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করলো, তাদের প্রচণ্ড বিশ্বস্ত না হলে জিয়াউর রহমান কি সেনাপ্রধান হতে পারতো? আজকে সেটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট, প্রমাণিত, সত্য। এবং জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসারকে বিনা বিচারে ফাঁসি দিয়েছে। অনেকের ফাঁসি হয়েছে, রায় হয়েছে ফাঁসি কার্যকর হবার পরে। আজকে সেই নিহতদের পরিবারের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’র বোবা কান্না আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এবং বিদেশি কূটনীতিকদের কানেও গেছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘এখনও ভোটের অধিকার, ন্যায় বিচারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে’- এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ফখরুল সাহেবকে সবিনয়ে অনুরোধ জানাবো—আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার জন্য, দলের চেহারাটাও দেখার জন্য। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেখানে শুধু ন্যায়বিচার না, বিচারটাই বন্ধ করা হয়েছিল। কারাগারের অভ্যন্তরে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেটির বিচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের অধিকারের কথা যদি বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়, সাত্তার সাহেবের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, এরশাদ সাহেবের সময় স্লোগান ছিল ‘১০টা হোন্ডা, ২০টা গুণ্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা’। সেই অপসংস্কৃতি তারাই চালু করেছিল। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিএনপিই করেছিল। তারা এক মাসের বেশি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। তো আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখলেই উনি উত্তর পেয়ে যাবেন।’

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি যে ন্যায়নীতির কথা বলে, ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, সেই হামলার হুকুমদাতা তো বিএনপির নেতারা। মির্জা ফখরুল সাহেবও সেই হুকুমদাতাদের মধ্যে একজন। এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার পর এখনও যে তারা ঘুরে বেড়ায়, এটাই তো জনগণের কাছে আশ্চর্যজনক বিষয়।’