প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতা ও মতির কুকীর্তি

নিউজ ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০৯:০৬ এএম, ১ এপ্রিল ২০২৩ শনিবার

প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতা ও মতির কুকীর্তি

প্রথম আলোর অপসাংবাদিকতা ও মতির কুকীর্তি

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর তথাকথিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ সাংবাদিকতার কোন মানদণ্ডেই যায় না। এর আগে এই প্রথম আলোই সুদখোর ইউনুসের পক্ষে বিদেশি পত্রিকার বিজ্ঞাপনকে দেশের খবরের বাজারে লিড নিউজ হিসেবেও ছাপায়। ‘পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ’ এমন শিরোনামে ইউনূসের যোগসাজশে সংবাদও প্রকাশ করেছিলো মতির পত্রিকা।

বাংলাদেশকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব তথা রাজনীতি শূন্য করতে চেয়েছিলেন তিনি। নিজের নামে তার পত্রিকায় ফলাও করে লিখেছিলেন, ‘দুই নেত্রীকে সরে যেতে হবে’। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে কোন পত্রিকার সম্পাদক এ ধরনের ভূমিকা পালন করেছে বলে কারোর জানা নেই।

তিনি শুধু রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কিংবা রাজনীতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেননি, দেশের সর্বোচ্চ আইন ও জনগণের পবিত্র ইচ্ছার প্রতিফলন সংবিধানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। তিনি সাংবিধানিক শাসনের পথ রুদ্ধ করে অসাংবিধনিক শক্তিকে ক্ষমতায় রাখতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

মূলত বছরের পর বছর ধরে প্রথম আলো এই ধরনের অপসাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছে, যা কোনভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুষ্ঠু প্রয়োগ নয়। প্রথম আলোর নাম ভাঙিয়ে এবং রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করার বদৌলতে মতিউর রহমান অপশক্তি ও দুর্নীতিবাজদের কাছ থেকে এতো সম্পদের মালিক হয়েছেন।

এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে প্রথম আলোর অসত্য, কুসত্য, ভুলভাল তথ্য প্রচার ও প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত নয় বলেই মনে করেন বিজ্ঞজনরা। তারা বলছেন, প্রথম আলোর এমন কর্মকাণ্ডে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকের স্বাধীনতাকে নষ্ট করেছেন প্রথম আলো সম্পাদক।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মতো গুরুতর অভিযোগের। প্রথম আলো পত্রিকাকে ব্যবহার করে তার ছেলে শাশার চাঁদাবাজি, বাবার প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সময়মতো শোধ না করাসহ নানা প্রমাণ রয়েছে মতি পরিবারের বিরুদ্ধে। তার ছেলে শাশার নামে রয়েছে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। এছাড়াও মতি ও তার স্ত্রীর আয়কর বহির্ভূত সম্পদের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৯ শত ৫৩ কোটি টাকার উৎস কি সেটিরও সদুত্তর মেলেনি।

জানা যায়, ছয়তলার অনুমোদন নিয়ে আইন ভঙ্গ করে ঢাকার লালমাটিয়ায় ‘লুৎফু ভবন’ নামে নয়তলা ভবন করেছেন প্রথম আলোর সম্পাদক।