সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে আসছে কঠোর আইন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

সময় একাত্তর

প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশেই এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের বিধান রেখে কঠোর আইন করতে যাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। শিগগিরই প্রস্তাবিত আইনটির খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রচারসহ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল খুলে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আর এ ধরনের অপরাধ কমানো ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন বিষয় ছড়ানো হয়। পাশাপাশি নানা ধরনের গুজবও প্রচার করা হয় অনেক সময়। এসব অপরাধ ঠেকাতে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, তুরস্ক এ ধরনের আইন করেছে। উন্নত বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে এই আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সোশ্যাল মিডিয়া নিজ দেশে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন নতুন আইন করেছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী। আমরাও বিটিআরসিকে বলেছি। আশা করছি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তারা খসড়া তৈরি করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। প্রস্তাবিত নতুন আইনের এখনো নাম দেয়া হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।

এছাড়া পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নানারকম ধর্মীয় উগ্র মতবাদ প্রচার, জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা, জিহাদের ডাকসহ রাষ্ট্রবিরোধী নানারকম অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।

তাছাড়া ইউটিউবে একাউন্ট খুলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিয়ে অনেকেই অর্থ উপার্জন করেন। সুযোগ পেয়ে অনেকেই এর অপব্যবহারও করেছেন। অন্যের ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করে দেয়া, এডাল্ট ভিডিও পোস্ট করা, ভিউ বাড়ানোর জন্য আপত্তিকর শিরোনাম কিংবা থাম্বনেইল এ অশ্লীল ছবি ব্যবহার করা ইত্যাদি।