ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

অনলাইন জুম মিটিংয়ে অনীহা বিএনপি নেতাদের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির হাইকমান্ড দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি আন্দোলনকে রাজপথে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পর এবার অনলাইনে হওয়া জুম মিটিংয়েও অনীহা প্রকাশ করেছে বিএনপি নেতারা।

সোমবার (১৮ই জানুয়ারি) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে এই অনীহার কথা জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ফারুক বলেন, জুম মিটিং করে আপনারা কী প্রমাণ করতে চান। এই জুম মিটিং করে নেত্রীর মুক্তি কিভাবে প্রত্যাশা করেন? আন্দোলন করুন, না হলে সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। জনগণ আপনাদের দিকে তাকিয়ে থেকে নিরাশ হচ্ছে।

জয়নুল আবেদিন ফারুকের সাথে একমত পোষণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নেত্রী অবরুদ্ধ। অথচ আমরা শুধু ফেসবুকে জুম মিটিং করছি। এতে কি আদৌ কোনো লাভ হবে? এভাবে কি আন্দোলন হয়? ধিক্কার জানাচ্ছি বিএনপির এমন নীতির প্রতি।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, কেবল তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর আন্দোলনের দিকে যাওয়া হচ্ছে না। এই পদক্ষেপ যত বিলম্বিত হচ্ছে, ততই খালেদা জিয়ার মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। শুধু জুম মিটিং করে যদি নেত্রীর মুক্তি সম্ভব হতো তবে সেটি অনেক আগেই হতো। কাঠি দিয়ে হাতি মারা যায় না।

এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জুম মিটিংয়ে তেমন কোনো সমস্যা হতো না, কিন্তু এ মিটিংয়ে নেতারা অনীহা প্রকাশ করছে কারণ, আমাদের ভিডিওতে ভিউ হয় না। বিএনপির সব বাঘা বাঘা নেতারা মিটিংয়ে উপস্থিত হয়, অথচ ভিডিওতে ভিউ হয় মাত্র ১২-১৩টি। এটা বিএনপির মতো একটি বৃহৎ দলের জন্য লজ্জাজনক। তবে আমরা ভিউ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আগামীতে আমাদের টার্গেট থাকবে, আমাদের জুম মিটিংয়ে যাতে অন্তত দুই’শ জন মানুষ দেখে। নতুবা রাস্তার সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকেও আমাদের ব্যর্থতার প্রমাণ জনসম্মুখে চলে আসবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়