ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

একের পর এক শিশুদের বলৎকার করে যাচ্ছেন হেফাজত নেতারা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ১২ এপ্রিল ২০২১  

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

মাদ্রাসায় একের পর এক শিশুদের বলৎকার করে যাচ্ছেন স্থানীয় হেফাজত নেতারা। তাদের এই নৈরাজ্য থামানো যাচ্ছে না। সম্প্রতি এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি প্রিন্সিপাল মাও. মুফতি মতিউর রহমান (৫০)কে পুলিশ আটক করে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বুধবার ৭ এপ্রিল দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের হেফাজত নেতাদের বর্বরতার শিকার হলো আরো একটি মাদ্রাসার ছাত্র। কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর সদরের বড়খাঁরচর আদর্শ নুরানি হাফিজিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি ইয়াকুব আলীর (৩৫) বিরুদ্ধে নুরানি তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে (১১) বলাৎকারের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। হেফাজতের বিতর্কিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর গত ৩ এপ্রিল রাতে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মীরা কুলিয়ারচর উপজেলা সদরে যে তাণ্ডব চালান তার নেতৃত্ব দেন এই মুফতি ইয়াকুব আলী।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ ও ৩১ মার্চ পর পর দুই রাত এই শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও তাৎক্ষণিকভাবে শিশুটি ভয়ে তা প্রকাশ করেনি। কারণ ঘটনা প্রকাশ না করতে মুফতি ইয়াকুব কোরআন শরিফ ছুঁইয়ে তাকে শপথ করান। এক পর্যায়ে শিশুটি তা প্রকাশ করে দেওয়ার পর এ নিয়ে দুই দিন ধরে এলাকায় তোলপাড় চলছে।

পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার বলাৎকারের ঘটনায় মুফতি ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় গত বুধবার মামলা করে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় মুফতি ইয়াকুব আলী একমাত্র আসামি। তবে পুলিশ তাঁকে শনিবার পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এলাকাবাসী জানায়, মুফতি ইয়াকুব উপজেলা হেফাজতে ইসলামের প্রভাবশালী নেতা। তিনি এলাকায় বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডে জড়িত। মাদরাসায়ও তিনি বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। অবশ্য মামলা দায়েরের পর তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। মুফতি ইয়াকুব আলীর বাড়ি পাশের উছমানপুর গ্রামে।

এদিকে বিষয়গুলোকে উদ্বেগজনক জানিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিভুরঞ্জন সরকার বলেন, এটি বিব্রতকর, তাদের নেতা মামুনুল হক নারী নিয়ে ধরা খান। আর তারা ছোট ছোট ছেলেদের বলৎকার করে ধরা খায়। তারা আসলে দেশটিকে ধ্বংস করে দিতে এসেছে। উচিত হবে হেফাজতে ইসলাম দল টিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে, তাদের নেতাদের বাংলাদেশ থেকে বের করে দেয়া। নইলে এই দেশকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়