এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে বনানী অংশে কাজ হয়েছে ৯৫ ভাগ
নিউজ ডেস্ক
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে বনানী অংশে কাজ হয়েছে ৯৫ ভাগ
পিচ ঢালাই হলেই খুলে দেয়া হতে পারে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এরই মধ্যে এ অংশের পঁচানব্বই ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ অংশের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বসেছে সড়কবাতি; রোড ডিভাইডারের কাজও শেষ। প্রথম পর্বের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্থাৎ ফার্মগেট পর্যন্ত চালিয়ে নিতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সবশেষ কথা ছিল চলতি বছর জুনেই চালু হবে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ–বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও। এর আগে কয়েক দফা সময় দিলেও কথা রাখতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
যদিও সরেজমিন দেখা যায়, কাজ এগিয়েছে অনেক দূর। বিমানবন্দর থেকে বনানী অংশের চলার পথ পুরোটাই প্রস্তুত প্রায়। বসেছে সড়কবাতি, ওঠানামার র্যাম্পের সঙ্গে সড়ক সংযোগের কাজটাই কেবল বাকি। পিচ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলে এ পথটা পুরোপুরি তৈরি হবে যান চলাচলের জন্য। টোলপ্লাজার কাজ শেষ হলেই বিমানবন্দর থেকে বনানীতে হতে পারে প্রাথমিক যাত্রা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার সম্প্রতি বলেন, বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বাকি যে র্যাম্পগুলো আছে, তার কিছু কাজ শেষ হয়নি; সেগুলো করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে কাজের অগ্রগতি পঁচানব্বই ভাগ হয়ে গেছে। বাকি কাজ ও টোলপ্লাজার কাজ শেষ হয়ে গেলে তখন চিন্তাভাবনা করা যাবে খোলা হবে কি না।
এদিকে বনানী থেকে তেজগাঁও অংশের কাজও প্রায় শেষ। তবে এ পথে ফার্মগেটের র্যাম্পটা একটু দীর্ঘ হওয়ায় এখনও শেষ হয়নি কাজ। এ ছাড়া মাঝপথে রয়েছে কয়েকটি র্যাম্পের ঢালাইয়ের কাজ। এ দফায় দিনক্ষণ চূড়ান্ত না করলেও কাজে আর বাধা হবে না বলেই মনে করেন এ এইচ এম সাখাওয়াত আকতার।
এদিকে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় পর্ব অর্থাৎ তেজগাঁও থেকে কমলাপুর অংশের কাজও।
উল্লেখ, রাজধানীর আশেপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় চার লেনের ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে। এ এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। এটির র্যাম্প রয়েছে ৩১টি। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের অর্থ তুলবে যানবাহন থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে। এজন্য তারা পৃথক টোল প্লাজা স্থাপন করছে কর্তৃপক্ষ।
২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা। ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেডের ৫১ শতাংশ, চায়না শানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপের (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের ১৫ শতাংশ শেয়ার নিয়ে গঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রসঙ্গত: এ প্রকল্প নিয়ে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর হলেও ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয় পর্যালোচনা চুক্তি। প্রকল্প সমাপ্তির সময়কাল ধরা হয় ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
মূলত সরকার রাজধানীকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (কুতুবখালী) সঙ্গে যুক্ত করতে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প হাতে নেয়।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন