ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২১, ২০ মার্চ ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মানবদেহে নানা রোগই বাসা বাঁধে। কিছু রোগ সহজে প্রতিকার করা গেলেও, এমন কিছু রোগ আছে যা মৃত্যু পর্যন্ত ঘটায়। তেমনি একটি জটিল রোগ হচ্ছে কিডনিতে পাথার হওয়া। কিডনির অন্যান্য সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। বর্তমানে এই সমস্যা অনেকেরই দেখা দিচ্ছে।

কিডনিতে পাথরের আকার-আকৃতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এছাড়া কিডনিতে পাথর কোথায় এবং কীভাবে রয়েছে তার উপরও ভিত্তি করে এর লক্ষণ প্রকাশ পায়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনো ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে অন্যান্য লক্ষণগুলোর দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সঠিক সময়ে এই রোগ নির্ণয় করা গেলে সহজেই প্রতিকার করা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত-   

কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ

কিডনিতে পাথর জমার বা তৈরি হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কিছু কিছু বিষয় কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন-

>> শরীরে পানির স্বল্পতা। কম পানি খাওয়া।

>> শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত আধিক্য।

>> অত্যাধিক পরিমাণে দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস।

>> বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর জন্য যথাযথ চিকিত্‍সার ব্যবস্থা না করা।

কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ

>>  রক্তবর্ণের প্রসাব।

>> বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।

>> কিডনির অবস্থানে (কোমরের পেছন দিকে) ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণস্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চিকিত্‍সা

কিডনির অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে চিকিত্সকরা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হলো কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি কিডনিতে পাথর। তাই কিডনির এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়। কখনো পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি আর যথাযথ ওষুধ খেলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অস্ত্রপচারই একমাত্র উপায়।

সতর্কতা

>> প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।

>> দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভালো।

>> বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

>> কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।

>> কখনো প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না। প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়