ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় অন্তকোন্দলে বিএনপির করুণ দশা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২০  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাঠে নেই কুষ্টিয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা। দেশের এই ক্রান্তিকালে সাধারণ মানুষের পাশে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করছেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। দায়িত্বশীলদের এমন কার্যক্রমে বাধ্য হয়ে দলীয় সহযোগিতা চেয়ে কর্মীরা লেখেন, নিজ দলের নেতাকর্মীদের খবর নিন, দয়া করে সাহায্য ও সহযোগিতা করুন।

করোনাকালীন এই দুর্যোগে অসহায় কর্মীদের পাশে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতারা না থাকায় অনেক কর্মীই ভুলতে বসেছে বিএনপিকে। এছাড়া কোন্দল আর গ্রুপিংয়ের কারণে ক্ষোভ আর অনাগ্রহ নিয়ে দল ছাড়ছেন অনেকেই।  

যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানালেও এ পর্যন্ত বর্তমান পরিস্থিতে বিএনপির কোনো নেতাকে মাঠে দেখা যায়নি। তাদের সঙ্গে দেখা হলেই তারা কুষ্টিয়ায় বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মুখস্থ বুলি আওড়ান। অথচ কোন্দল আর গ্রুপিংয়ের কারণে কুষ্টিয়ায় বিএনপির করুণ এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ায় একপক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। আরেক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম ও সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, বিএনপির নেতারা এই দুঃসময়েও সাধারণ মানুষের পাশে না থাকায় ভবিষ্যতে এ জেলায় বিএনপির রাজনীতি ভিন্ন পথে প্রবাহিত হতে পারে। তার প্রমাণ এখনই চোখে পড়ছে। এই দুঃসময়ে সাধারণ মানুষের পাশে না থাকায় এবং বিএনপি নেতাদের মাঠে না পাওয়ায় অনেক নেতাকর্মী দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তারা জানান, রুমী-শহীদুল অন্তকোন্দলেই কুষ্টিয়া বিএনপির এমন করুণ দশার সৃষ্টি হয়েছে।
  
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১ বছর আগে কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে একই পদে রেখে জেলা বিএনপির নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণদের নতুন কমিটিতে স্থান দিয়ে ৩ বছর মেয়াদে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীমূল হাসান অপু, কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন প্রধান। এ কমিটিতে বেশ কিছু ত্যাগী নেতা বাদ পড়লে দলের মধ্যে অন্তকোন্দল সৃষ্টি হয়।

জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন বলেন, করোনার কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি এলেও পালন করা যায়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দলের কার্যক্রমও স্বাভাবিক হবে।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, নতুন কমিটিতে ত্যাগী নেতারা বাদ পড়েননি। তরুণ নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই কমিটি দলবিমুখ কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা এখনো মাঠে সক্রিয় থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু নেতার কারণে তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তৃণমূল কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আবারো সব ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়