ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খালেদার চিকিৎসা নিয়ে ফের রাজনীতিতে বিএনপি!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ১২ জুন ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের মহানুভবতায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্তি পান। তবে তার মুক্তির ব্যাপারে দল ও পরিবার ছিল বরারবই উদাসীন। বরং বিএনপি নেত্রীর মুক্তিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছিল অর্থ বাণিজ্য ও রাজনীতি। লন্ডনে পলাতক দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছিলেন এর নেপথ্য নায়ক। তিনিই সবকিছুর কলকাঠি নাড়তেন। সম্প্রতি আবারও শুরু হয়েছে তার কর্মকাণ্ড। শুরু করেছেন গর্ভধারিণী মা ও দলীয় নেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি।

বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার নামে রাজনৈতিক চাপ গড়ে তোলার পাঁয়তারা করছে বিএনপি। সে লক্ষ্যে দলটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণও শুরু হয়ে গেছে। তারেক রহমানের নির্দেশনায় এসব কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামে বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারই আভাস পাওয়া গেলো ১০ জুন (বৃহস্পতিবার) দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে। ওই দিন তিনি তৃণমূল থেকে কেন্দ্রীয় সকল নেতা-নেতাকর্মীদেরকে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

এ ব্যাপারে বাংলা নিউজ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিএনপি হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। হাইকমান্ড নেতৃবৃন্দ এই প্রতিবেদককে বলেন, বর্তমানে ম্যাডামের (খালেদা জিয়ার) শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটলেও তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা বেশি দরকার। সেক্ষেত্রে গত মে মাসের শুরুতে তাকে বিদেশে নিতে সরকারের সঙ্গে তার পরিবারের যে প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিলো, মাঝখানে তা স্থগিত থাকলেও আবার শুরু হয়েছে। আমরা সে কারণে দলের পক্ষ থেকে আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথা ভাবছি। কারণ, রাজনৈতিক চাপ গড়ে না তুললে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে না সরকার।

তবে বিএনপি নেত্রীর বিদেশ যাত্রার বিষয় নিয়ে এখনও অবহিত নন তার বোন সেলিনা রহমান। তিনি বলেন, খালেদার বিদেশযাত্রা নিয়ে এখনও আলাপ হয়নি। ডিসিশন নিচ্ছে শামীম (ভাই)। ফলে, কী করছে, সেটা আমি জানি না, কথা হয়নি। তার কথার সূত্র ধরে খালেদার ভাই শামীম ইস্কান্দরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে বলেন, এখনই কিছু না বলি। সিদ্ধান্ত হলে সব জানানো হবে।

খালেদাকে কোন দেশে নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির বিদেশ বিষয়ক কমিটির একজন সদস্য বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া সহজ হলেও এই মুহূর্তে ম্যাডামের (খালেদা জিয়ার) লন্ডনে যাওয়াটা খুব ডিফিকাল্ট। আর যেখানেই যে দেশেই তিনি যান না কেন, ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন মেইনটেন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর সহজ হবে।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, খালেদা বিদেশে চিকিৎসার নামে গেলেও সেখানে গিয়ে যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করবেন না, তার কী গ্যারান্টি? কারণ, বিশেষ শর্তে তাকে কারামুক্তি দেওয়ার পরেও তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় সৌজন্য সাক্ষাতের নামে করেছেন দীর্ঘ রাজনৈতিক বৈঠক। তাই তাকে সহজেই বিশ্বাস করাটা সরকারের সমীচীন হবে না। অপরদিকে, তার ছেলে তারেক রহমানও চাইছেন না, তার মা অচিরেই মুক্তি পাক কিংবা বিদেশ যাক। কারণ, তিনি বাইরে এলেই তারেকের কর্তৃত্ব শেষ। পাশাপাশি শেষ খালেদার মুক্তি-বিদেশ যাত্রার নামে তার রাজনীতি, অর্থ বাণিজ্য ও দলীয় ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়