ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ বিএনপির!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৮ জুন ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশে উদ্ভূত করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই জনমানুষের নিরাপত্তায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে সরকার। এই বয়সে এসেও সরকারপ্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে নিশ্চিত করছেন মানুষের ভালো থাকা। একইসঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন, মহামারি না যাওয়া পর্যন্ত তারা যেন সার্বক্ষণিক নিজেদের নিয়োজিত রাখেন মানুষের সেবায়। অথচ ঠিক একই সময়ে মানুষের পাশে না থেকে কেবল গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেই রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, করোনা মহামারিকালে লক্ষণীয় কোন তৎপরতা নেই বিএনপির। নেই জনসম্পৃক্ততাও। উপরন্তু মানুষকে সহায়তার নামে বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে করছেন নিজেরাই উদরপূর্তি। পাশাপাশি নিজেদের দায় এড়াতে দোষ চাপাচ্ছেন সরকারের উপর। গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন, তারা অনেক কিছুই করেছেন। পক্ষান্তরে সরকার কিছুই করেনি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, সরকার করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রণোদনাসহ ত্রাণ ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলা নিউজ ব্যাংকের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, করোনার কারণে তারা বাইরে কম বের হচ্ছেন। তবে ভার্চুয়ালি বৈঠকের মাধ্যমে সব তদারকি করছেন এবং তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছেন। অনাগত দিনেও তারা এভাবে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাবেন।

ঘরে বসে বিবৃতি-বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ‘গ্রহণযোগ্যতা’ আদায় হয় না জানিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, করোনার শুরু থেকেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ কেবল গণমাধ্যমে বক্তব্য রেখেই চলেছেন। কিন্তু জনমানুষের পাশে থেকেছেন কতক্ষণ? সরকারের মিথ্যে সমালোচনা না করে মানুষের সহায়তায় নিজেদের আত্মনিয়োগই বা করেছেন কতটুকু? ঘরে বসে গণমাধ্যমে ভিত্তিহীন বক্তব্য-বিবৃতি দেয়ার চেয়ে মহামারিকালে মানুষের পাশে থাকাটাই বড় কথা। মানুষ হিসেবে বড় দায়িত্ব। যেটা সরকার করে দেখিয়েছে। সঙ্গে এও প্রমাণ করেছে, তারাই পারে। তারাই পারবেন।

অথচ এই কাজটা রাজনৈতিক দল হিসেবে চাইলে বিএনপিও করতে পারতো। সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে পারতো করোনা দুর্গতদের পাশে। কিন্তু তা করেনি দলটির নেতৃবৃন্দ। বরং সহায়তার নামে বিভিন্ন দাতা থেকে প্রাপ্ত অর্থও করেছেন নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা। আর নিজেদের দোষ-ত্রুটি ঢাকতে অভিযোগের মিথ্যে আঙুল তুলছেন সরকারের দিকে। গণমাধ্যমে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য রেখে প্রমাণ করতে চেয়েছেন, তারা ধোয়া তুলসী পাতা। কিন্তু আসলেই কি তাই? তাহলে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ, বড় বড় অর্থ কেলেঙ্কারি, দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত কারা করেছিল? আর কারাই বা দুর্নীতিতে বানিয়েছিল লাল-সবুজের এই বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন?

রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা আরও বলেন, মানুষ সত্য ভোলেনা, ভোলেনি। সব মনে রেখেছে। মনে রেখেছে তাদের সব অপকর্মের কথা। যে কারণেই আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন এবং মাঠের রাজনীতিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ একটি রাজনৈতিক দল। যা সাংগঠনিক ধ্বজভঙ্গতায় অচিরেই পরিণত হচ্ছে যাদুঘরের রাজনৈতিক দলে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়