ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জননেত্রী শেখ হাসিনার উদারতায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ণে বিশ্বব্যাপি প্রশংসিত বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৬ আগস্ট ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী কর্তৃক ভয়াবহ নির্যাতনের মুখে পড়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসার চার বছর পূর্তি হচ্ছে গতকাল ২৫ আগস্ট। ২০১৭ সালে রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে।

এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন শুরু করে। ফলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এক অনন্যসাধারণ মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী আবেগঘন বিষাদময় পরিবেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আন্তরিক সহানুভূতি, সহমর্মিতা, একাত্মবোধ ও উদারতায় একান্ত সান্নিধ্যে মিলিত হন। নির্যাতিত নারী ও শিশুর মুখে নির্বিচারে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও বর্বরোচিত অত্যাচারের বর্ণনা শুনে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাদেরকে সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসসহ এই সংকটের স্থায়ী সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমগ্র বিশ্বের শরণার্থী, সেই সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে মানবিকতা দেখিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে, একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। আজ বিশ্ব দরবারে জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদার অব হিউমিনিটি বা মানবতার মা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছেন। নেদারল্যান্ডয়ের নামকরা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছিলে, ‘শেখ হাসিনা: মাদার অব হিউমিনিটি’। 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত-নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়