ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

জাককানইবি শিক্ষার্থীর ‘শান্তি মশাল’ সমাজে উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায়

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪১, ২০ জানুয়ারি ২০২১  

সানজিদা হক ভাবনার ‘শান্তি মশাল’ প্রজেক্টের লোগো

সানজিদা হক ভাবনার ‘শান্তি মশাল’ প্রজেক্টের লোগো

সানজিদা হক ভাবনা, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে স্নাতকোত্তরে পড়াশুনা করছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি)। লেখাপড়ার পাশাপাশি যুক্ত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে। অসহায় নারীদের আত্মনির্ভরশীল ও সমাজের শান্তি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিজের নামের মতোই সমাজের উন্নয়নে ভাবনা রয়েছে জামালপুরের স্বপ্নবাজ এই তরুণীর।

সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত নেটওয়ার্ক ফর রিলিজিয়াল অ্যান্ড ট্র্যাডিশনাল পিসমেকার্সের আওতায় ‘আহা!’ (অ্যাওয়ারনেস উইথ হিউম্যান অ্যাকশন) প্রজেক্টের জন্য নির্বাচিত হয়েছে ভাবনার ‘শান্তি মশাল’ প্রজেক্ট।

যাতে সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্ত আছে ‘ফিন চার্চ এইড’, ওয়ার্ল্ড ফেইথ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ, সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক রিলিফ ওয়ার্ল্ডওয়াইডসহ বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

নিজ প্রজেক্টের ব্যাপারে ভাবনা বলেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনের। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ হলো ‘শান্তি মশাল’। প্রাথমিকভাবে নারী পুরুষ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পৃক্ত ৫০ জন প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। ৮ মাস দীর্ঘ প্রজেক্টে পরবর্তীতে তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ ও কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলবে যারা নিজ নিজ সম্প্রদায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখবে।’

তরুণ এই শিক্ষার্থী বলেন, উইমেন পিস ক্যাফে-জাককানইবি ও সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস-ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা সামনে থেকে সঠিক দিক-নির্দেশনার মাধ্যমে আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার পথ দেখিয়েছে।

শান্তি মশালের কার্যক্রম নিয়ে ভাবনা জানান, অনলাইন ও অফলাইনে সেমিনারের মাধ্যমে নির্বাচিত লিডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষিত ৫০ জন লিডার তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করবে। গ্রামীণ পর্যায়ে শান্তির আলো পৌঁছে দিতে গ্রামীণ নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই প্রজেক্টের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া গ্রামীণ অসহায় নারীদের শান্তি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং আত্মনির্ভরশীল করে তোলার লক্ষ্যে ‘শান্তি মশাল’ অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে অর্থনৈতিক মুক্তির ব্যবস্থা করবে।

এ সময় বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে ‘শান্তি মশাল’ সমাজের সর্বস্তরে শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভাবনা। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন জাককানইবির তরুণ এই শিক্ষার্থী।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়