ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

জিয়াকে নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য সামঞ্জস্যহীন, খাপছাড়া

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৩ জুন ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অধিকাংশ নেতাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নেতারা কেউই কোনো কথা বলছেন না। এমন সময় বিএনপির একমাত্র মুখপাত্রের দায়িত্ব নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু কোন প্রসঙ্গে কি বলতে হবে সেটি বুঝতে পারছেন না তিনি। নিয়মিত কথা বলতে গিয়ে কথার খেই হারিয়ে ফেলছেন। তার লাগামহীন কথাবার্তার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার শীর্ষে উঠে এসেছেন মির্জা ফখরুল।

কিছুদিন ধরে বিএনপির এই নতুন মুখপাত্র জিয়াউর রহমানকে নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন।

প্রথমে তিনি বললেন, জিয়ার আদর্শের চর্চা বিএনপিতে হচ্ছে না। বিএনপি জিয়ার আদর্শ থেকে দূরে সরে গেছে। আবার দুদিন পরেই বললেন, জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ইতিহাস বিকৃতি করছে। জিয়াকে তো এখন স্বাধীনতার ঘোষক বা শহীদ রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বীকারই করে না। বরং তাকে পাকিস্তানের এজেন্ট বানিয়ে ফেলা হচ্ছে।‌

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য সামঞ্জস্যহীন, খাপছাড়া বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যেই রয়েছে ইতিহাসের বিকৃতি। জিয়া কোনোদিনই স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না। তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন মাত্র।। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেছিলেন সংবিধান লঙ্ঘন করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। তিনি প্রথম সেনাপ্রধান ছিলেন যিনি সামরিক পোশাকে নির্বাচন করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

জিয়াউর রহমানই প্রথম ব্যক্তি যিনি ভোট কারচুপি, ভোট ডাকাতির এক সীমাহীন নজির স্থাপন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান যে রাষ্ট্রপতি ছিলেন না সেটি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে মীমাংসিত। ওই রায়ে পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ বলা হয়েছে এবং ঐ সময়কার সমস্ত কর্মকাণ্ডকে বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিএনপির এমন মিথ্যাচার আদালত অবমাননার শামিল।

সাম্প্রতিক নানা ইস্যু নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কথা নেই। মিথ্যা ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি করছেন। অপ্রাসঙ্গিক বিষয় এনে কার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন মির্জা ফখরুল সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। নাকি বিএনপিতে লাগামহীন কথাবার্তা বললেই ভালো পদ পদবী পাওয়া যায়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়