ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ঝালকাঠিতে কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২০  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সাংগঠনিক কার্যক্রম ও শক্ত নেতৃত্ব না থাকায় ঝিমিয়ে পড়েছে ঝালকাঠি বিএনপি। এতে দলের প্রতি আস্থা হারাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। দুঃসময়ে কর্মীদের পাশে না থাকা, সাংগঠনিক স্থবিরতা, দলীয় কোন্দল ইত্যাদি বিএনপির জন্য সৃষ্টি করেছে এক গ্যাঁড়াকল। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জেলার নেতাকর্মীদের মাঝে। ফলে কর্মীদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিএনপির।

জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ঝালকাঠি বিএনপির কমিটির অধিকাংশ নেতা বিভিন্ন অজুহাতে রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য স্থানে অবস্থান করছেন। এমন অবস্থায় জেলায় বিএনপির দৈন্যদশা চলছে। এরমধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাবে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। বর্তমানে জেলায় বিএনপির কোনো ধরনের সক্রিয়তা নেই। দুঃসময়ে বা দুর্যোগেও কেউ কারো পাশে থাকছেন না জেলার নেতারা। এতে দূরত্ব বাড়ছে কর্মীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মী বলেন, ঝালকাঠিতে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থান শক্ত নয়। করোনা পরিস্থিতিতে কোনো নেতার দেখাই পাওয়া যায়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে কোথাও ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। নেতাদের কার্যক্রম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ। তারা মানুষকে এ মহামারিতে কিছুই দেয়নি। মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

জানা গেছে, মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আট মাস পর ঝালকাঠি জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দুই সদস্য বিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করায় পদবঞ্চিত দলীয় নেতাকর্মীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, দলে কোনো গ্রুপিং বা কোন্দল নেই, নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে যোগ্যরাই জায়গা পেয়েছেন। 

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, করোনা দুর্যোগে পুরো জেলায় কর্মী ও অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। যারা বাদ পড়েছেন তাদের বিষয়টি পরবর্তী সময়ে বিবেচনা করা হবে। সব দলেই কিছু খারাপ সময় আসে যা পরবর্তীতে স্বাভাবিক হয়ে যায়। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচি না থাকলেও জেলা বিএনপি সুসংগঠিত রয়েছে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়