ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ঢাকা শুধু বাসযোগ্য নয়, দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৯, ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে হাতিরঝিলের আদলে নির্মাণ করা হলে ঢাকা শুধু বাসযোগ্য নয়, দৃষ্টিনন্দন ও বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে উঠবে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা ওয়াসার সহায়তায় ‘মেঘনা নদীর মাস্টার প্ল্যান’ শীর্ষক এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ওয়াসা থেকে দুই সিটি কর্পোরেশনকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালের দায়িত্ব দেয়ার পরেই দুই মেয়র অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে দিয়েছেন এবং কার্যক্রম চলমান আছে।

এ সময় ঢাকার চারপাশের নদীগুলোকে দখলমুক্ত, দূষণরোধ ও নাব্যতা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ চলছে বলে উল্লেখ করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।

তিনি জানান, পদ্মা, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী, বালু ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ চলছে। এছাড়া সরকার তুরাগসহ ঢাকার অদূরে বেশ কিছু নতুন শহর গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষের আয় বাড়ায় ভোগ বেড়েছে। আর এ কারণেই ময়লা-আবর্জনার পরিমাণ বেড়েছে। নদ-নদী, খালসমূহে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য নিষ্কাশন হওয়ার ফলে পানি দূষিত হয়ে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়।

তিনি বলেন, সবার সমন্বিত উদ্যোগে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করার পর নদীরক্ষাসহ অনেক জাতীয় কর্মসূচি হাতে নিয়েছিলেন। নদীপথ ব্যবহার করেই বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের চলাচলের পাশাপাশি পণ্য আনা-নেয়া করা হতো।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এক সময় পিছিয়ে থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে, ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশেও রূপান্তরিত হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সভাপতিত্ব করেন। এতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ওয়াসা ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীকে দখল, দূষণ ও নাব্যতা সংকট থেকে রক্ষা করতে ‘মেঘনা নদীর মাস্টার প্ল্যান’ নামের এ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। ১৮ মাস মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১১ কোটি চার লাখ টাকা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়