ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

তারুণ্যের আকাশ ছোঁয়ার উচ্ছ্বাস

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ৬ জুন ২০২২  

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে আনন্দ উৎসবে মেতেছেন গ্রাজুয়েটরা

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে আনন্দ উৎসবে মেতেছেন গ্রাজুয়েটরা

শূন্যে লাফিয়ে মাথার হ্যাটগুলো নীল আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছেন। আকাশ পানে চেয়ে আবার তা ধরার চেষ্টা করছেন। আর এরই মাঝে ক্যামেরার ক্লিক ক্লিক আওয়াজে ফ্রেমে বন্দি করে নিচ্ছেন অনেকে। নীল গাউন, টুপি পরা গ্রাজুয়েটদের এমন আনন্দে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো পুরো ক্যাম্পাস। বলছিলাম রাজশাহী অঞ্চলের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে’র সমাবর্তনের কথা।

গত ২ জুন (বৃহস্পতিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো তাদের প্রথম সমাবর্তন। 

রোদের সোনালী একটি দিন। মাথার ওপর আগুন-গরম সূর্য। সে সবকে থোরাই কেয়ার করে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছিলেন নবীন গ্রাজুয়েটরা। হাতের মুঠোয় পরম আরাধ্য বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অর্জিত সনদ। সকাল থেকেইে গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। ব্যানার, ফেস্টুন আর রঙিন আলোয় সাজানো পুরো প্রাঙ্গণ। উল্লাস উচ্ছ্বাসের আলোকছটার দিনে মহোৎসবে মেতে উঠেন সবাই। 

জীবনের পুরনো দিনের পাতায় নানান স্মৃতি পাখা মেলেছে মনের দুয়ারে। গ্রাজুয়েটরা এক পলকে হারিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কাটানো হাজারো স্মৃতির সময়গুলোতে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের গ্রাজুয়েট মেহেদী হাসান বলেন, অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে এসেছি। বন্ধুদের সঙ্গে আবারো দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। এতদিন পর ফেরার সে আনন্দ ভাষায় বুঝানো সম্ভব নয়।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা বলেন, অনেক দিন জুনিয়র, সিনিয়র সবাইকে একসঙ্গে দেখতে পারছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমি যখন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এখানে আসি তখন তো সবকিছু নতুন ছিলো কাউকে চিনি না। আর এখন তো গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি এখন পুরো ক্যাম্পাসের মোটামুটি সবাই পরিচিত। এখন এই মুহুর্তে মনে হচ্ছে পুরো ক্যাম্পাসটাই আমার।

এতদিন যে স্বপ্নের বীজ বুনেছিলেন তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নিতেই ক্যাম্পাসে ছুটে আসা গ্রাজুয়েটদের। কাঁধে কাঁদ মিলিয়ে স্মৃতির ফ্রেমে বন্দী তারা। স্বপ্নে সারথি যারা তাদের নিয়ে সমাবর্তনের দিনটিতে তাদের কাছে পাওয়ার সুযোগ। বাবা মাকে নিয়েই আনন্দে মেতেছেন সৌভাগ্যবানদের কেউ কেউ। তাদেরই একজন পাবলিক হেলথ্ বিভাগের শশী। মাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সমাবর্তনে। তিনি বলেন, মামনিকে নিয়ে সমাবর্তনে আসতে পেরেছি। এটা অন্য রকম অনুভূতি। একটা মেয়ে যে ঘর সংসার সামলে লেখাপড়াও করতে পারে তার প্রমাণ আমি। তাই অন্য সবার থেকে আমার অনুভূতিটা একটু ভিন্ন। 

অসুস্থ শরীর নিয়েও মেয়ের সমাবর্তনে এসেছেন শশীর মা। তিনি বলেন, অসুস্থ থাকার পরও মেয়ের আনন্দের দিনে স্বাক্ষী হতে এখানে আসা। মেয়েরা চাইলেই সবকিছু করতে পারে।   

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাবর্তনে তিনটি অনুষদভুক্ত দশটি বিভাগের ১ হাজার ৫২৭ জনকে সনদ প্রদান করা হয়। দুইজন গ্রাজুয়েটকে ‘চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ এবং নয়জনকে ‘ভাইস-চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়