ত্রয়োদশ আসরে স্পট লাইটে থাকা পাঁচ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই আজ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হচ্ছে ঘরোয়া লিগের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি টুনার্মেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। করোনার কারণে পাঁচ মাস দেরিতে মাঠে গড়াচ্ছে আইপিএল। এবারের আইপিএলে পাঁচজন ক্রিকেটারের ওপর স্পটলাইট থাকবে। ৫৩ দিনের এই লড়াইয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির চোখে যেই পাঁচজন খেলোয়াড়ের ওপর স্পট লাইট থাকবে, তাদের নিয়ে বিশ্লেষণও করা হয়েছে।

বিরাট কোহলি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু): ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলি। ত্রয়োদশ আসরে কোহলির ওপর নির্ভর করছে ব্যাঙ্গালুরুর সাফল্য। এখন পর্যন্ত শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি দলটি। ২০১৬ সালের আসরে ১৬ ম্যাচে ৬৪০ রান করেছিলেন কোহলি। ওই আসরে রানার্স-আপ হয়েছিলো ব্যাঙ্গালুরু।

কোহলির সঙ্গে ব্যাটিং লাইন-আপে ব্যাঙ্গালুরুতে ভরসার প্রতীক হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এ জুটিতে এবার সাফল্যে রঙিন হতে চায় ব্যাঙ্গালুরু।

ডেভিড ওয়ানার্র (সানরাইজার্স হায়দারাবাদ): জাতীয় দলের জার্সি গায়ে বল-বিকৃতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে নিষিদ্ধ হওয়ায় এক বছর হায়দারাবাদের হয়ে খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ানার্র।

গেল বছর ১২ ম্যাচে ৬৯২ রান করেছেন ওয়ানার্র। এবার অধিনায়ক হিসেবে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন ওয়ানার্র। হায়দারাবাদের জন্য বড় পাওনা হচ্ছে তার অধিনায়কত্ব । ওয়ার্নারের  নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে আইপিএলের শিরোপা জিতেছিল হায়দারাবাদ। এবার মরুর দেশের ট্রফি তুলে ধরার মিশনে হায়দারাবাদ।  

ওয়ানার্র বলেন, আমি নিশ্চিত, আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো এবং আবারো শিরোপার স্বাদ নিতে চাই।

জশ বাটলার (রাজস্থান রয়্যালস): গেল বছর বিশ্বকাপ থেকে ইংল্যান্ড দলের  ব্যাটিং লাইন-আপের মেরুদণ্ড জশ বাটলার। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ে ভূমিকাও ছিল তার। আইপিএলের রাজস্থানের অন্যতম ভরসা বাটলার।  

সদ্য শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছোট ফরম্যাটে ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৭৭ রান করেন বাটলার। যা এবারের আইপিএলে ভালো করতে তাকে আত্মবিশ্বাসী রেখেছে।

আইপিএলে বাটলারের স্ট্রাইক রেট ১৫০। রাজস্থানে বাটলারের সঙ্গে থাকছেন তারই সতীর্থ বেন স্টোকস ও জোফরা আচার্র। আইপিএলের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান গেল বছর ভালো করতে পারেনি। সপ্তম হয়েছিলো তারা। তবে এবার ভালো করতে মুখিয়ে আছে দলটি।  

আন্দ্রে রাসেল (কলকাতা নাইট রাইডার্স): একাই ম্যাচ শেষ করে দেয়ার ক্ষমতা আছে বিশ্ব টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবচেয়ে ভয়ংকর খেলোয়াড় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্দ্রে রাসেলের। যেকোনো বোলারের জন্য দুঃস্বপ্ন রাসেল।

গেল বছর আইপিএলের ভেল্যুয়েবল খেলোয়াড়ের খেতাব পান রাসেল। কলকাতার হয়ে ৫৫০ রানের পাশাপাশি ১১ উইকেট শিকার করেন তিনি।

দুবার চ্যাম্পিয়ন কলকাতা এবার রাসেলকে নিয়ে ভিন্ন পরিকল্পনা করেছে। মিডল-অর্ডার থেকে তাকে ব্যাটিং প্রমোশন দিতে চায়। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে দেখা যেতে পারে রাসেলকে।

রশিদ খান (সানরাইজার্স হায়দারাবাদ): সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলার হিসেবে ৩০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সানরাইজার্স হায়দারাবাদের আফগান স্পিনার রশিদ খান। ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) দুর্দান্ত পারফরন্সে করে ৩০০ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব গড়েন তিনি।

বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও আইপিএলে হায়দারাবাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি নজরে আসেন ২১ বছর বয়সী রশিদ। আইপিএলে ৪৬ ম্যাচে ৫৫ উইকেট নিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে শীর্ষে থাকা রশিদ। ব্যাট হাতে লোয়ার-অর্ডারেও বেশ পারদর্শী রশিদ।