ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দাওয়াতি কাজের সুন্নতি পদ্ধতি

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দাওয়াতি কাজের সুন্নতি পদ্ধতি

দাওয়াতি কাজের সুন্নতি পদ্ধতি

মহান আল্লাহর নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। ইসলামের প্রচার ও প্রসারে আত্মনিয়োগ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ঈমানী দায়িত্ব এবং নামাজ রোজার ন্যায় আপন জায়গা থেকে একটি ফরজ বিধান।

এই প্রচার ও প্রসারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দাওয়াত। 

কোন কাজের পরিপূর্ণ ফায়দা বা উপকারিতা পেতে হলে সেই কাজের উসূল বা নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। দাওয়াত যেহেতু দ্বীনের এক মহান কাজ তাই আমাদেরকে তার পথ ও পদ্ধতি পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ থেকে গ্রহণ করতে হবে।

সুতরাং পবিত্র কুরআন ও হাদীসে এই দাওয়াতি কাজের কিছু উসূল বা নিয়ম-নীতি রয়েছে, যা মানতে পারলে আমাদের দাওয়াতি কাজ অনেক ফলপ্রসূ হবে ইনশা-আল্লাহ।  

দাওয়াতি কাজের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট কিন্তু দাওয়াতের পদ্ধতিটা নির্দিষ্ট নয় বরং স্থান, কাল ও ব্যক্তি বিশেষ দাওয়াতের তরীকা ও পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। এমনকি ছোট বড়, শিক্ষিত অশিক্ষিত, নারী পুরুষ সর্ব প্রকারের মানুষই দাওয়াতের কাজ করতে পারবে। তবে আহলে ইলম হক্কানী উলামায়ে কেরামের নেগরানী এবং তত্বাবধানে হতে হবে। 

অন্যথায় কিছুদূর যাওয়ার পর বিদআত অনুপবেশ করে তা বাতিল এবং ভন্ডামীর দিকে নিয়ে যাবে, আর এটাই বাস্তবতা। তবে নাসিহাত বা সদুপদেশ অথবা সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে যদি কেও কাওকে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ফলে সে ঈমান আনয়ন করে, তাহলে জায়েজ আছে। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের যামানাতেও এমন আমল পাওয়া যায়। স্বয়ং নবী করীম সা. এক পালুয়ানের সঙ্গে লড়ায়ের মাধ্যমে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছিলেন। 

ইয়াজিদ ইবনে রুকানাহ নামক এক পালুয়ান ছিল, সে রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং মুসলমানদের চরম শত্রু ছিল। সে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে অনেক ঘৃণা করত। সে কাওকে পড়ুয়া করতনা। একদিন সে এমন শর্ত দিল যে, যদি রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে মল্লযুদ্ধে হারাতে পারে তাহলে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে। সুতরাং রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই তার সঙ্গে কুস্তি লড়েছিলেন এবং তাকে হারিয়ে দেন। 

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,

وقد روى أبو بكر الشافعي بإسناد جيد عن ابن عباس رضي الله عنهما : أن يزيد بن ركانة صارع النبي صلى الله عليه وسلم فصرعه النبي صلى الله عليه وسلم ثلاث مرات كل مرة على مائة من الغنم فلما كان في الثالثة قال: يا محمد ما وضع ظهري إلى الأرض أحد قبلك وماكان أحد أبغض إلي منك وأنا أشهد أن لا إله إلا الله وأنك رسول الله فقام عنه رسول الله صلى الله عليه وسلم ورد عليه غنمه [صحيح السيرة النبوية :217]

‘ইয়াজিদ ইবনে রুকানাহ রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সাথে ১০০ বকরি বাজি রেখে মল্লযুদ্ধে আগ্রহী প্রকাশ করল এ শর্তে যে, সে যদি হেরে যায় তাহলে ইসলাম গ্রহণ করবে, সুতরাং রাসূলুল্লাহ (সা.) একেক করে তিনবার তার সাথে কুস্তি লড়লেন এবং তাকে তিনবারই ধরাশায়ী করে হারিয়ে দিলেন। তৃতীয়বার হেরে যাওয়ার পর সে বলল, হে মোহাম্মদ! আজকের দিনের পূর্বে তোমার চেয়ে মন্দ এবং ঘৃনীত আমার কাছে আর কেউ এই ধরাতে ছিলনা। কিন্তু এখন আপনিই আমার কাছে এই ধরায় সবচেয়ে প্রিয়। সুতরাং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং আপনি আল্লাহর রাসূল)। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে পূর্বের শর্ত থেকে মুক্ত করে দিলেন এবং তার মেষগুলোকে ফিরিয়ে দিলেন। (সহি সিরাতে নববীঃ ২১৭)       

দাওয়াতি কাজে লক্ষনীয় কিছু নিকনির্দেশনা কুরআনুল কারিমে পাওয়া যায়। মহান আল্লাহ বলেন,

ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ 

‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান কর প্রজ্ঞা ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বিতর্ক কর সুন্দর পন্থায়’ (নাহল ১৬/১২৫)।
এ আয়াতে দাওয়াতের তিনটি পদ্ধতি উল্লিখিত হয়েছে। যথা- (১) হিকমত তথা পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক দাওয়াত দেওয়া। (২) উত্তম উপদেশ দেওয়া। (৩) উত্তম পন্থায় বিতর্ক করা।

হিকমাত দাওয়াতি কাজের জন্য যেই জিনিসটি অধিক পরিমাণে থাকা দরকার তা হল হিকমাত বা প্রজ্ঞা। এই সিফাতটি আল্লাহ তাআলা সমস্ত নবী রাসুলদেরকে পরিপূর্ণভাবে দান করেছেন। মহান রাব্বুল আলামীন কোরআনুল কারীমে ‘হিকমাত শব্দটি বারটি সূরায় সর্বমোট ২০ বার উল্লেখ করেছেন। 

এই শব্দটির অর্থ ও মর্ম বিশাল ও বিস্তৃত। যাবতীয় বিষয় বস্তুকে সঠিক জ্ঞান দ্বারা জানাকে হিকমাত বলে। সংক্ষেপে প্রজ্ঞা, মনীষা, বুদ্ধিমত্তা, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব, অন্বেষা, বহু দর্শিতা, সুদৃষ্টি ইত্যাদিকেও হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত বলে ধরে নেয়া যায়। কারো মতে গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তিই হলো হিকমাত বা প্রজ্ঞা। এমন উপযোগী বাক্য চয়ন করে দাওয়াত প্রদান করো যা মানুষের মনে স্থান করে নেয়। 

অন্য কথায় এমন প্রজ্ঞার সাথে দাওয়াত দানকে হিকমত বলে, যার সাহায্যে দাঈ মানুষের অবস্থার তাগিদ জেনে নিয়ে তদনুযায়ী কথা বলে। সে এমন সময় ও সুযোগ খুঁজে নেয়, যা মানুষের ওপর বোঝা না হয়। নম্রতার স্থলে নম্রতা ও কঠোরতার স্থলে কঠোরতা অবলম্বন করে। স্পষ্টভাবে কথা বললে যদি মানুষ লজ্জিত হবে বলে দাঈ মনে করে তাহলে সেখানে ইঙ্গিত করে কথা বলে। ব্যস্ত থাকলে ফারিগ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, অতঃপর দাওয়াত প্রদান করে। যাতে দাওয়াতের লক্ষ্য ব্যক্তি বিরক্ত না হয় এবং তার মাঝে একগুঁয়েমির ভাব অব্যাহত না থাকে। (তাফসিরে রুহুল বায়ান) 

মাওয়াইজে হাসানাহ (موعظة) এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন শুভেচ্ছামূলক কথা এমনভাবে বলা, যাতে প্রতিপক্ষের মন তা কবুল করার জন্য নরম হয়ে যায় [ফাতহুল কাদীর] উদাহরণত: তার কাছে কবুল করার সওয়াব ও উপকারিতা এবং কবুল না করার শাস্তি ও অপকারিতা বর্ণনা কর। [ইবন কাসীর]

(الْحَسَنَةِ) -এর অর্থ বর্ণনা ও শিরোনাম এমন হওয়া যে, প্রতিপক্ষের অন্তর নিশ্চিত হয়ে যায়, সন্দেহ দূর হয়ে যায় এবং অনুভব করে যে, এতে আপনার কোন স্বার্থ নেই- শুধু তার শুভেচ্ছার খাতিরে বলেছেন। 

কিন্তু শুভেচ্ছামূলক কথা মাঝে মাঝে মর্মবিদারক ভঙ্গিতে কিংবা এমনভাবে বলা হয় যে, প্রতিপক্ষ অপমান বোধ করে। এ পন্থা পরিত্যাগ করার জন্য (حسنة) শব্দটি সংযুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ দাওয়াত দেওয়ার সময় দুটি জিনিসের প্রতি নজর রাখতে হবে। এক, প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা এবং দুই, সদুপদেশ। এ দুটিই মূলত: দাওয়াতের পদ্ধতি। কিন্তু কখনও কখনও দায়ী-র বিপক্ষকে যুক্তি-তর্কে নামাতে হয়। তাই কিভাবে সেটা করতে হবে তাও জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। [ফাতহুল কাদীর] 
(موعظة)এর অর্থই হল যার মধ্যে নম্রতা এবং শালীনতা থাকবে, সুতরাং তার মাঝে (حسنة) শব্দটি সংযুক্ত করে আরো বেশি ওয়াজের বিষয়টি খেয়াল করার কথা বলা হয়েছে।  

মুজাদালায়ে হাসানাহ جادل শব্দটি (مجادلة) ধাতু থেকে উদ্ভুত। তর্ক-বিতর্ক বোঝানো হয়েছে। (بِالَّتِيْ هِىَ اَحْسَنُ) -এর অর্থ এই যে, যদি দাওয়াতের কাজে কোথাও তর্ক-বিতর্কের প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে তর্ক-বিতর্কও উত্তম পন্থায় হওয়া দরকার। উত্তম পন্থার মানে এই যে, কথাবার্তায় নম্রতা ও কমনীয়তা অবলম্বন করতে হবে। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর] এমন যুক্তি-প্রমাণ পেশ করতে হবে, যা প্রতিপক্ষ বুঝতে সক্ষম হয়। এবং এও বুঝতে পারে যে, আসলে সঠিক পথে সে আছে, আমি নই। সুতরাং তাকে এমন ভাবে ছেড়ে আসা যাতে করে সে দ্বিতীয়বার আপনার কাছে আসতে আড় অনুভব না করে এবং লজ্জা বোধ না করে। বরং আপনার সাথে যেন পুনরায় মুলাকাতের জন্য তার দিল বে-কারার থাকে এবং কামনা করে। 

কুরআনুল কারীমের অন্যান্য আয়াত সাক্ষ্য দেয় যে, উত্তম পন্থায় তর্ক-বিতর্ক শুধু মুসলিমদের সাথেই সম্পর্কযুক্ত নয়; বরং আহলে কিতাব সম্পর্কে বিশেষভাবে কুরআন বলে যে, (وَلَا تُجَادِلُوْٓا اَهْلَ الْكِتٰبِ اِلَّا بِالَّتِيْ ھِىَ اَحْسَنُ) [আল-আনকাবূতঃ ৪৬] -অন্য আয়াতে মূসা ও হারূন আলাইহিস সালাম-কে (فَقُوْلَا لَهٗ قَوْلًا لَّيِّنًا) [ত্বাহা: ৪৪] নির্দেশ দিয়ে আরো বলা হয়েছে যে, ফিরআওনের মত অবাধ্য কাফেরের সাথেও নম্র আচরণ করা উচিত।

মুবাহালা এর মাধ্যমেও দাওয়াত দেওয়ার প্রমাণ কিতাবুল্লাহতে পাওয়া যায়। মুবাহালার সংজ্ঞা হল: যদি সত্য ও মিথ্যার ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয় এবং যুক্তিতর্কে মীমাংসা না হয়, তবে তারা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, যে পক্ষ এ ব্যাপারে মিথ্যাবাদী, সে যেন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। এতে বিতর্ককারীরা একত্রিত হয়ে প্রার্থনা করলেই চলে। পরিবারপরিজন ও আত্মীয়-স্বজনকে একত্রিত করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু একত্রিত করলে এর গুরুত্ব বেড়ে যায়। (মা’রেফুল কুরআন)   

সুতরাং কোন অমুসলিমকে যদি আল্লাহর দিকে আনার জন্য মুবাহালা করতে হয়, তাহলে তা করতে পারবে। যেমনটা আমাদের নবী মোহাম্মদ (সা.) কে মুবাহালা করার হুকুম করা হয়েছে। 

ইরশাদ হয়েছে:

 { فَمَنْ حَاجَّكَ فِيهِ مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَكَ مِنَ الْعِلْمِ فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ وَنِسَاءَنَا وَنِسَاءَكُمْ وَأَنْفُسَنَا وَأَنْفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَلْ لَعْنَتَ اللَّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ} [آل عمران: 61]

‘অতঃপর তোমার নিকট সত্য সংবাদ এসে যাওয়ার পর যদি এই কাহিনী সম্পর্কে তোমার সাথে কেউ বিবাদ করে, তাহলে বল-এসো, আমরা ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের স্ত্রীদের ও তোমাদের স্ত্রীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের আর তারপর চল আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। [ সুরা ইমরান ৩:৬১ ]  

কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে দাওয়াত দিতে হবে এ ব্যাপারে আমরা হাদিসের মধ্যে পাই যে, দাওয়াত দানে প্রথমে তাওহীদের প্রতি মানুষকে আহবান করতে হবে। কেননা ইসলামের মূল ভিত্তি হচ্ছে তাওহীদ। পরে ইসলামের যাবতীয় বিধান সম্পর্কে সহীহ সুন্নাহর আলোকে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে। 

হাদীসে ইরশাদ হয়েছে,

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا رضى الله عنه إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ ادْعُهُمْ إِلَى شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ، وَأَنِّيْ رَسُوْلُ اللهِ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوْا لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ قَدِ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ خَمْسَ صَلَوَاتٍ فِيْ كُلِّ يَوْمٍ وَلَيْلَةٍ، فَإِنْ هُمْ أَطَاعُوْا لِذَلِكَ فَأَعْلِمْهُمْ أَنَّ اللهَ افْتَرَضَ عَلَيْهِمْ صَدَقَةً فِيْ أَمْوَالِهِمْ، تُؤْخَذُ مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ وَتُرَدُّ عَلَى فُقَرَائِهِمْ-

ইবনু আববাস (রা.) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) মু‘আয (রা.)-কে ইয়েমেন দেশে (শাসক হিসাবে) প্রেরণ করেন। এ সময় তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সেখানকার অধিবাসীদেরকে এ সাক্ষ্য দানের প্রতি আহবান জানাবে যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন ইলাহ নেই এবং আমি আল্লাহর রাসূল। যদি তারা তা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত করবে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের উপর দিনে ও রাতে পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত ফরজ করেছেন। যদি সেটাও তারা মেনে নেয় তবে তাদেরকে অবগত করবে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাদের সম্পদে ছাদাক্বা (যাকাত) ফরজ করেছেন। যা তাদের ধনীদের নিকট থেকে গ্রহণ করা হবে আর দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হবে’।) বুখারী হা/১৩৯৫) 

উম্মতে মুসলিমার করুন এই দুঃসময়ে আমাদের সকলকে দাওয়াতের নিয়ম-কানুন মেনে পুরা দুনিয়াতে ইসলামের দাওয়াতকে আরো জোরদার করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের এই মেহনতের উসিলায় যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সারা দুনিয়ার মানুষকে অন্ধকারে পথ থেকে আলোর দিকে জাহান্নামের পথ থেকে জান্নাতের দিকে নিয়ে আসতে পারি সেই তৌফিক দান করুন। আমিন। 

   

সর্বশেষ
জনপ্রিয়