ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুদকের মামলায় পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৫ মে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ২১ মার্চ ২০২১  

পাপিয়া ও সুমন

পাপিয়া ও সুমন

ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়ে আগামী ২৫ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের জজ কে এম ইমরুল কায়েশ নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এদিন মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করতে না পারায় আদালত নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে তাদের দুজনের নামে মামলাটি করেন। ‘দুদক আইন, ২০০৪’ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্তোরাঁর খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। 

এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা এক কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার এবং তার স্বামীর নামে জমা করা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি অনুসন্ধানে।

অন্যদিকে র‌্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোনো বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে।

এদিকে গত ১২ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পাপিয়া ও সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আগামী ১২ এপ্রিল মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

উল্লেখ্য, মাত্র ৯ কর্মদিবসে বিচার কাজ শেষে গত বছরের ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনের ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এ মামলায় গত বছরের ২৫ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এরপর মামলায় বিভিন্ন সময় মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়