ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির মূল হোতা খালেদা-তারেক!

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৩৪, ২০ জানুয়ারি ২০২১  

খালেদা জিরা - তারেক রহমান

খালেদা জিরা - তারেক রহমান

বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, কমিশন বাণিজ্য, জঙ্গিবাদে মদদ দান, আঞ্চলিক সন্ত্রাসবাদে মদদ দিয়ে দেশ ও বিদেশে কুখ্যাতি অর্জন করেন তারেক। জানা গেছে, বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মূলহোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় খালেদা-তারেককে। সরকারি ক্রয় এবং রাজনৈতিক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায়ই ঘুষ চাইতেন তারেক।

তথ্যসূত্র বলছে, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ঘুষ কেলেঙ্কারি, অর্থ আত্মসাৎ ও কর ফাঁকি অনেক মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতি না করার শর্ত মেনে কৌশলে দেশ ছেড়ে পালান তারেক রহমান। দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি ডলার অর্জনের দায়ে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি চাঁদাবাজির মামলাও রয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার মতো গুরুতর মামলায় তারা সাজা হয়েছে। প্রশাসনিক দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজে কমিশন আদায়, অর্থ পাচার করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দুর্নীতির বরপুত্রের খেতাব অর্জন করেন তারেক। তার সীমাহীন দুর্নীতি, জঙ্গিবাদে মদতদানের মতো বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করে বহির্বিশ্বে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েন তিনি। ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস তারেক রহমানকে জঙ্গিবাদের মদতদাতা ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না দিতে ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করে।

এ ব্যাপারে এক রিপোর্টে রাষ্ট্রদূত মরিয়ার্টি মার্কিন কোম্পানি সিমেন্সের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কয়েকটি মামলার সংক্ষিপ্ত সার তুলে ধরেন। মরিয়ার্টি বলেন, ওই প্রত্যক্ষদর্শী তারেক ও তার ভাই কোকোর কাছে সিমেন্সের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষ পৌঁছে দেন। সিমেন্সের চুক্তির কাজের মোট অর্থ থেকে প্রায় ২ শতাংশ ঘুষ নেন তারেক। যা মার্কিন ডলারে পরিশোধ করা হয়। এসব ঘুষ ও চাঁদাবাজির বাইরেও তারেক ব্যাপক অর্থ তছরুপে জড়িত ছিলেন। কয়েকজন সহচরের মাধ্যমে তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ফান্ডের ৩ লাখ ডলার আত্মসাৎ করেন। দুদকের বরাতে মরিয়ার্টি আরও বলেন, তারেক ছিলেন ওই তহবিলের সহ-স্বাক্ষরদাতা। ওই ফান্ডের অর্থ দিয়ে তিনি নিজ শহরে একটি জমি কিনেছেন। এছাড়া ওই তহবিলের অর্থ তিনি ২০০৬ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির সদস্যদের মধ্যেও বিলি করেছেন।

আরও বলা হয়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের মধ্যে ছিল আরেক ‘ছায়া সরকার’। হাওয়া ভবনে বসে এ সরকার চালাতেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন দল ও জোটের উচ্চপর্যায়ের বেশ কয়েক নেতা। তারেক রহমানের দুর্নীতিতে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে পড়ে দাতা ও উন্নয়ন সহযোগি দেশ এবং সংস্থাগুলো। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতি, অপকর্ম ও দুঃশাসনের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। বেগম জিয়ার সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় তারেক চূড়ান্ত দুর্নীতিবাজে পরিণত হন বলেও জানা গেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়