ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার শপথ পূরণ করবো: বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২১ জানুয়ারি ২০২১  

জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস

জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলের সামনে ঐতিহ্যবাহী ওয়াশিংটন স্মৃতিসৌধের দিকে তাকিয়ে দুই যুগল। পাশাপাশি তবুও নিরাপদ শারীরিক দূরত্বে। করোনাকালে শপথ গ্রহণের ঠিক আগে এই ছবিটি টুইট করে ঐক্যের বার্তা দিলেন দেশটির নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবিটি সস্ত্রীক জো বাইডেন এবং স্বামীর সঙ্গে কমলার।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় হিসেবেও এই পদে তিনি প্রথম। আগামী দিনে দেশটির দায়িত্বের অনেকাংশ তার বলিষ্ঠ কাঁধে থাকবে।

বছরটা মহামারির। করোনায় শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে ৪ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। তবুও জীবন থেমে থাকার নয়। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তাই কমলার টুইট বার্তা, ‘শারীরিক দূরত্ব থাকলেও, আমাদের মধ্যে আত্মিক যোগ রয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।’

করোনার ব্যাপারে দেশবাসীকে সান্ত্বনা দিয়েছেন কমলা। এর আগের একটি টুইটে বলেছেন, ‘এখনো মানতে পারি না যে ওরা আর নেই। কারো দাদা, দাদি, ওরা আমাদের জগত ছিলেন। কারো বাবা-মা, কারো সঙ্গী, ভাই-বোন বা বন্ধু। কোভিডে যাদের হারিয়েছি, আজ তাদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। আজ রাতে একসঙ্গে সেই কষ্ট ভাগ করে নেব। সেরে উঠবো আমরা।’

নতুন দিনের স্বপ্ন একে কমলা পুনরায় বলেছেন, ‘দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাল থেকে জো বাইডেনের সঙ্গে আমি কাজ করবো। বর্তমান সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করবো। দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার শপথ পূরণ করবো।’

টুইটারে মানুষকে বার্তা দেয়ার পাশাপাশি এ দিন ইনস্টাগ্রামে দিনভর স্মৃতিচারণ করেছেন কমলা। সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন নিজের জীবনের গল্প। মায়ের দেখানো পথেই যে বরাবর চলেছেন, সে কথা লিখেছেন তিনি। মা ও বোনের সঙ্গে নিজের তিনটে পুরনো পারিবারিক ছবিও পোস্ট করেছেন। জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা জামাইকান, মা ভারতীয়। পৃথিবীর দুই প্রান্তের বাসিন্দা। অন্য অনেকের মতো ওরাও যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের স্বপ্ন খুঁজতে এসেছিলেন। সেই স্বপ্নটা ছিল নিজেদের নিয়ে, আমি আর আমার বোন মায়াকে নিয়ে।’

মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের যুক্তরাষ্ট্রে আসার গল্প, বার্কলের ক্যালিফর্নিয়া ইউনিভার্সিটিতে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ বিজ্ঞানী হিসেবে শ্যামলার লড়াই সব কিছু একটু একটু করে তুলে ধরেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘মা সবসময় বলতেন, শুধু বসে থেকে কোনো কিছু নিয়ে অভিযোগ করো না। বরং নিজে কিছু করো। আমি নিয়মিত নিজের জীবনে সেটা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার চেষ্টা করি।’

চলার পথে যেসব মানুষ, জায়গা আর মুহূর্তরা তার জীবনে ছাপ ফেলে গেছে, অনুরাগীদের কাছে সেই সব গল্প শোনানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কমলা।

সূত্র: আনন্দবাজার

সর্বশেষ
জনপ্রিয়