ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নাশকতার পরিকল্পনা: আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার ৪ সদস্য রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ১৬ জুন ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় আনসার আল ইসলাম চার সদস্যের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তারা হলেন- মো. ইলিয়াছ নাহিদ (৪০), মো. নুরুন্নবী ইসলাম (২৫), মো. শাহজালাল (৩৬) ও সামিনুর রহমান সুমন (২৫)।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিন করে রিমান্ড নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসী প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার তুরাগ থানার দিয়াবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিটিটিসির কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শেখ ইমরান হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা ইন্টারভিত্তিক ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেজে আনসার আল ইসলাম সমর্থিত পিডিএফ বই, অডিও, ভিডিও দেখত। এসব দেখে তারা আনসার আল ইসলামের সদস্য হয়ে সংগঠনের পক্ষে কাজ করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আনসার আল ইসলামের সংগঠনের হয়ে অর্থ সংগ্রহ, সংগঠনের কারাবন্দি সদস্যদের জামিনের জন্য কাজ করত। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মতবাদবিরোধীদের চিহ্নিত করে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করত। এছাড়াও রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে তারা অগ্রসর হচ্ছিল।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মো. নুরুন্নবী ইসলাম দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল এবং সাভারের সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছে। মো. ইলিয়াছ নাহিদ এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। নুরুন্নবী ও ইলিয়াছ গাজীপুরের একটি প্রতিষ্ঠানে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করত। মো. শাহজালাল গাজীপুরে গার্মেন্টেসে কাজ করত। সামিউর রহমান সুমন ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিল। গ্রেফতারকৃতরা মূলত তাদের পেশার আড়ালে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের হয়ে কাজ করে আসছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়