ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নাশকতার পরিকল্পনায় আনসার আল ইসলামের দুই জঙ্গি রিমান্ডে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:০৪, ৩ জুন ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নাস্তিক, ব্লগার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে গ্রেফতার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরার আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-চান মিয়া (২৬) ও ফয়েজুর রহমান ওরফে আহমাদ আদনান (২৩)। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে খিলগাঁও এলাকা থেকে ডিএসপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট এই দু’জনকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

গতকাল বুধবার সিটিটিসি ইউনিটের ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শেখ ইমরান হোসেন বলেন, গ্রেফতার দু’জন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। খিলগাঁও এলাকায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করতে মিলিত হয়েছিলেন। তারা নাস্তিক, ব্লগার ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে রেকি ও সার্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ঘটনাস্থলে মিলিত হয়েছিলেন।

এডিসি শেখ ইমরান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতি উগ্রবাদী বার্তা ছড়িয়ে আগ্রহীদের তালিকা প্রণয়ন ও তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার কাজ করতেন গ্রেফতার ব্যক্তিরা। তারা একপর্যায়ে তরুণদের পরিপূর্ণ মগজ ধোলাই করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে তাদের যোগাযোগের মধ্যে নিয়ে আসতন। তারা বুঝাতেন- নাস্তিক, ব্লগার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তারা পরকালে সহজে জান্নাতে যেতে পারবেন।

সিটিটিসি জানিয়েছে, গ্রেফতার ফয়েজ সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আর গ্রেফতার চান মিয়া সোনাপুর ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তিনি পেইন্টিংয়ের কাজের আড়ালে নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের কাজ করতেন। তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।

শেখ ইমরান বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইলে গুরাবা মিডিয়া, আল হিকমাহ মিডিয়া, আল খিদমাহ মিডিয়া প্রকাশিত উগ্রবাদী বার্তা সম্বলিত বইয়ের সফট কপি (পিডিএফ) পাওয়া গেছে। ফেসবুকে উগ্রবাদী প্রচারণার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহ ও বাছাই করে বিভিন্ন অ্যাপসে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তারা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়