ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নিজ দলেই নজরদারিতে বিএনপির ‘সন্দেহভাজনরা’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

নিজ দলেই নজরদারিতে বিএনপির ‘সন্দেহভাজনরা’

নিজ দলেই নজরদারিতে বিএনপির ‘সন্দেহভাজনরা’

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর যে সন্দেহ-অবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা আমলে নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজন নেতাদের তালিকা করে তাদের কর্মকাণ্ড নজরদারির জন্য দলটির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে বিষয়টি নিয়ে কেউই মুখ খুলতে চান না।

অন্যদিকে উকিল আব্দুস সাত্তারদের মতো নেতাদের  নিয়েও ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবে বিএনপি। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির কিছু নেতা হয়তো ক্ষমতাসীনদের ফাঁদে পা দিতে পারে, এ নিয়েও উদ্বেগ আছে দলের ভেতরে।

দলীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার গণসমাবেশ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। সমাবেশের পর থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতাদের অবস্থান নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। 

এদিকে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে ঢাকার বাইরে থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী যোগ দিলেও মহানগরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। সে সময় আমানউল্লাহ আমানের বক্তব্য নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এছাড়া গ্রেফতারের পরদিনই তার জামিন হওয়ায় নেতাকর্মীদের সন্দেহের তীর তার দিকে যেতে শুরু করে। এছাড়া জ্যেষ্ঠ নেতারা জেলে যাওয়ার পর নামসর্বস্ব ১৫ দল ও সংগঠন নিয়ে জোট গঠনের উদ্যোগে তাকে নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব জামিনের পর তার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আমানউল্লাহ আমানকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। 

তিনি ছাড়াও মহানগরের আরো কয়েকজন নেতার অবস্থান নিয়ে আলোচনা হয় ঐ বৈঠকে। গত মাসের শেষভাগে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে মহানগরের নেতারা কে কোথায় ছিলেন বা তাদের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়। 

সেখানে মহানগর নেতাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা সন্দেহভাজন নেতাদের নজরদারির জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। যার প্রধান করা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে। তবে বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন, এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের কথা আমি জানি না। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামও বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন।

সন্দেহভাজন নেতাদের নজরদারির জন্য দলের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির প্রধান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ‘পরে’ কল করতে বলে এড়িয়ে যান।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়