নিষিদ্ধ হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম!
নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানোর পর চাপের মুখে কিছুদিন চুপ থাকলেও আবারও মাথা তোলার চেষ্টা করছে জঙ্গিবাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আবারও দেশব্যাপী তাণ্ডব চালানোর হুমকি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। এর প্রেক্ষিতে সরকার জঙ্গিবাদী এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের চিন্তা করছে।
জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় জেলে আটক রয়েছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ক্ষোভের বিস্ফোরণ হলে এর দায় সরকারের ওপরই বর্তাবে।
সূত্র জানায়, প্রকৃতপক্ষে এই বিবৃতির মাধ্যমে সরকারকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন বাবুনগরী। নেতাদের না ছাড়লে আবারও দেশব্যাপী তাণ্ডব চালাবে হেফাজত— এমন কথাই একটু ভিন্ন ভাষায় বলেছেন বাবুনগরী। এদিকে বাবুনগরীর এমন হুমকির পর সরকারও নড়েচড়ে বসেছে বলে জানা গেছে। মৌলবাদী এই সংগঠনটি শোধরাবে না উল্লেখ করে এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে নরেন্দ্র মোদির ঢাকা আগমনকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব চালায় হেফাজত। এরপর জঙ্গি নেতা মামুনুল হকসহ হেফাজতের উগ্র নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সংগঠনটির নেতারা রাজনীতির সাথে যুক্ত না হওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু বাবুনগরীর মন্তব্যে আবারও প্রমাণ হল, এই জঙ্গিরা সময়ের অপেক্ষায় থাকে। এদের পেছনে দেশি-বিদেশী শক্তি জড়িত। তাই এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিকল্প নেই।
এদিকে সোমবার জাতীয় সংসদেও দাবি উঠেছে হেফাজত নিষিদ্ধের। সরকারি দলের জ্যেষ্ঠ সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সরকার পতন। স্বাধীনতা দিবস ওরা সহ্য করতে পারে না, ওদের বুকে ব্যথা লাগে। কথা নাই, বার্তা নাই বায়তুল মোকাররমে জমা হয়ে তাণ্ডব চালায়। সেখানে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারেন না। বায়তুল মোকাররমে এ ধরনের সমাবেশে নিষিদ্ধ করা উচিত। তারা বায়তুল মোকাররমকে প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছে। এই হেফাজতে ইসলাম ছিল স্বাধীনতাবিরোধী নেজামে ইসলামি।’
মানুষ মেরে এরা ইসলামকে হেফাজত করবে কীভাবে— এমন প্রশ্ন রেখে শেখ সেলিম বলেন, ‘এটা জঙ্গি সংগঠন, এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হোক। যেভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হয়েছে, সেভাবে এদের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, সরকার প্রথমে ভেবেছিলো উগ্র নেতাদের সাজা দিলে হয়ত হেফাজত শোধরাবে। কিন্তু জঙ্গিবাদী সংগঠন কখনও শোধরায় না বাবুনগরীর মন্তব্যই তার প্রমাণ। তাই হেফাজতকে নিষিদ্ধের এটাই ঠিক সময়। সরকারের ভেতরে জঙ্গিবাদী এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধের আলোচনা চলছে বলে জেনেছি। আমার মনে হয়, আর পর্যালোচনার দরকার নাই। দেশকে স্বাভাবিক, সমৃদ্ধির পথে রাখতে হলে এখনই এই জঙ্গিবাদীদের নিষিদ্ধের বিকল্প নেই।
- বাঙালির ইতিহাসের লজ্জাজনক এক অধ্যায় ছিল জিয়ার শাসনামল
- জাইমা নয়, ইশরাকের পছন্দ জাফিয়া রহমানকে
- ১৩ দিনে ১৩১ গাড়িতে আগুন দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত
- ফখরুল বাদ, নেতৃত্বে আসছে রুহুল কবির রিজভী
- যৌবনকালে পরীমনির মতোই উশৃঙ্খল ছিলেন খালেদা জিয়া
- আল জাজিরার মিথ্যাচার: বেরিয়ে এলো সামি’র আসল পরিচয়
- পাকিস্তানি জেনারেল জানজুয়ার মৃত্যুতে কেন খালেদা জিয়ার শোকবার্তা
- বিএনপির দায়িত্ব তারেককে দিয়ে চরম ভুল খালেদার
- রাজধানীর দুই মাদ্রাসা থেকে ৫ শতাধিক ছুরি জব্দ
- বিএনপির দুর্নীতিতে বিদ্যুৎ-দ্রব্যমূল্যে বিপর্যস্ত ছিলো জনজীবন