পদ্মাসেতুর মাধ্যমে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ সুবিধা পাবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সংগৃহীত
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গর্বের স্থাপনা পদ্মাসেতুর মাধ্যমে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (ভোমরাসহ অন্যান্য স্থলবন্দর) মোংলা সমুদ্রবন্দর, পায়রা সমুদ্রবন্দর বিশেষ সুবিধা পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শুধু শ্রমিক-বান্ধব, ব্যবসা-বান্ধব নন, তিনি বাংলাদেশ-বান্ধব। প্রধানমন্ত্রী ২০০১ সালে বিরাট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্যবসায়ীদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আঞ্চলিক বাণিজ্য, আন্তঃসংযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্থলবন্দরের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসের বাংলাদেশ গড়ে তোলে। সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছিল। তখন দেশের অর্থনীতির নিরাপত্তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়েছিল। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিলেন তা মুখ থুবড়ে পড়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আবদুল মতলুব আহম্মেদ এবং বিজিএমইএ'র সভাপতি ফারুক হাসান।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকারই ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করেছিল। প্রতিষ্ঠাকালীন সংস্থাটি ১৩টি স্থলবন্দর নিয়ে যাত্রা শুরু করে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিকনির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমদানি-রফতানি পণ্য নিরাপদে পারাপার করা স্থলবন্দরের মূল দায়িত্ব। স্থলবন্দরের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থল বন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্থলবন্দরে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। বন্দরগুলোর ইয়ার্ড বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর উদ্বোধন ঘিরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশে তৈরি হচ্ছে। পদ্মাসেতু হচ্ছে আমাদের মডেল। পদ্মাসেতু ওপর দিয়ে আকাশপথে বিমান যাবে, পদ্মাসেতু দিয়ে গাড়ি যাবে, রেল যাবে, নিচ দিয়ে নৌকা যাবে।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন