ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পাঁচ মাস পর খুলেছে উচ্চ আদালত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২১, ১৩ আগস্ট ২০২০  

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

করোনারভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর খুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রমও চালু রয়েছে।

গতকাল বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দুই পদ্ধতিতেই বিচারকাজ চলবে বলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জানিয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের পূর্বে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে হাইকোর্টের ১৮টি বেঞ্চ শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করেন।

এই ১৮টি বেঞ্চের বিচারপতিরা হলেন-

বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দ, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল, বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি একেএম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব, বিচারপতি বোরহান উদ্দীন ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হক, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এএসএম আব্দুল মোবিন, বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার, বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিন খান, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম, বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন, বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদার, বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী।

শারীরিক উপস্থিতিতে কোর্ট শুরুর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আজ থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা কোর্টরুমসহ আদালত অঙ্গন পরিদর্শন করেছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তবুও আইনজীবীসহ সবাইকে আগামী দিনগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানাই।

এর আগে গত ৬ আগস্ট দুই পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলবে বলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

ভার্চুয়াল আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া ১২ আগস্ট বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ এবং অত্র কোর্টের জারি করা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন। এতে দ্বৈত এবং একক ৩৫টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আগামী ১২ আগস্ট বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন। এতে দ্বৈত এবং একক ১৮টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।

অপরদিকে, করোনা পরিস্থিতির জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় চিরাচরিত কালো কোট-গাউন ছাড়াই সাদা পোশাকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাজির হন আইনজীবী ও বিচারপতিরা। গতকাল মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতির জন্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চ্যুয়াল কিংবা শারীরিক উপস্থিতিতে মামলার শুনানিতে বিচারপতি এবং আইনজীবীদের কালো কোর্ট ও গাউন ব্যবহার না করার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেন।

করোনার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এর সঙ্গে মিল রেখে আদলতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দফায় দফায় সাধারণ ছুটির মেয়াদও বাড়ানো হয়। এর মধ্যে অধ্যাদেশ জারির পর গত ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চুয়াল বিচারকাজ শুরু হয়। ওই অধ্যাদেশটি পরে আইনে পরিণত করা হয়।

সবশেষ গত ১৬ মে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তবে সরকার ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালত অঙ্গনে নিয়মিত কার্যক্রমের পরিবর্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল বিচারকাজ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

এদিকে, গত ৩০ জুলাই অধস্তন আদালতে ৫ আগস্ট থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। সে অনুসারে অধস্তন আদালতে বিচারকাজ শুরু হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়