ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

প্রকৃতির অপার বিস্ময় বরফ আগ্নেয়গিরি

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ১৩ মে ২০২১  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কখনো বরফের আগ্নেয়গিরি দেখেছেন কি? প্রকৃতির অপার বিস্ময় এই বরফ আগ্নেয়গিরি। সাধারণত আগ্নেয়গিরি হলে লাভা ও ছাই উৎপন্ন হয়। তবে কখনো কি দেখেছেন, মাটি ফুড়ে বের হচ্ছে বরফ? বিস্ময়কর হলেও এটি আসলে প্রকৃতির খেলা।

এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। বরফের চাদরের নিচে ঠান্ডা পানি ঢুকলে চাপের সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরফের মধ্যে থাকা গর্ত দিয়ে বেরিয়ে আসে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি। যা ভূ-পৃষ্ঠে আসতেই জমে বরফ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা বা দিন লাগাতার এমন হতে পারে।

কাজাখস্তানের আলমাতি এলাকায় সম্প্রতি ৪৫ ফুট লম্বা বরফ আগ্নেয়গিরি প্রত্যক্ষ করেছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৃতির বিস্ময়কর এ ঘটনাটি।

কৌতূহলী দর্শনার্থীরা সেখানে বরফ আগ্নেয়গিরি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। যদিও এই ঘটনাটি কাজাখস্তানে প্রথমবার ঘটেনি। ২০২০ সালেও ছোট একটি বরফ আগ্নেয়গিরি দেখা গিয়েছিল। তবে এবারেরটা আকারে আগেরটার চেয়ে অনেকটা বড়।

বরফ আগ্নেয়গিরি কমপক্ষে এক বা দুই দিন স্থায়ী হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বরফ আগ্নেয়গিরির কাছে যাওয়া বেশ বিপজ্জনক বটে। এগুলো যেকোনো সময় উপচে অনেকদূর পর্যন্ত উঠতে পারে। অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি কারো গায়ে পড়লে স্থানটিতে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিশিগানের সৌগাটাকের ওভাল সমুদ্রে বরফ আগ্নেয়গিরির সাক্ষী হয়েছিল বিশ্ব। এরি হ্রদের তীরেও এটি দেখা গিয়েছিল। আইসল্যান্ডেও এমন ঘটনা মাঝে মধ্যেই ঘটে থাকে।

বরফ আগ্নেয়গিরি তুষারকটাহ এর কারণেও হতে পারে। তুষারকটাহ হলো অন্তঃহিমবাহ আগ্নেয়গিরিকে আচ্ছাদনকারী বরফের স্তর। সেগুলো বৃত্তাকার বা আয়তকার হতে পারে। তাদের পৃষ্ঠতলের মাপ কয়েক মিটার থেকে (বরফের মধ্যে গর্ত) শুরু করে এক বা তারও বেশি কিলোমিটার হতে পারে।

বরফ-আগ্নেয়গিরির সঙ্গে তুষারকটাহের অস্তিত্ব দুইভাবে সংযুক্ত। অন্তঃহিমবাহ বিস্ফোরণের সময়ে গঠিত হতে পারে বা একটি হিমবাহের ভেতর অবস্থিত অবিচ্ছিন্ন সক্রিয় উচ্চ তাপমাত্রার ভূতাপীয় অঞ্চলের শীর্ষে তৈরি হতে পারে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়