প্রস্তুত স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল, অপেক্ষা উদ্বোধনের
নিউজ ডেস্ক
প্রস্তুত স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল, অপেক্ষা উদ্বোধনের
পদ্মা সেতুর পর দেশের আরেক বিস্ময়কর মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। চট্টগ্রামে জোয়ার ভাটার কর্ণফুলী নদীর তলদেশ ফুড়ে নির্মিত হয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার এ প্রথম সুড়ঙ্গপথ। সবদিক দিয়ে এ টানেল এখন প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এ টানেল উদ্বোধনের ঘোষণা রয়েছে।
টানেল প্রকল্প সূত্রে সর্বশেষ জানা গেছে, সিভিল, ইলেকট্রো মেকানিক্যালসহ সব ধরনের কর্মযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটেছে। যদিও অফিসিয়ালি বলা হচ্ছে, টানেলের কাজ ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পন্ন। আর টানেলসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাজের সমাপ্তি হয়েছে ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে এর সবই শেষ হয়েছে। এখন নিয়মিত চালানো হচ্ছে ট্রায়াল রান। প্রি কমিশনিং, কমিশনিং কাজ শেষে প্রকল্প কর্মকর্তারা নিয়মিত ট্রায়াল রানের মাধ্যমে দেখছেন খুটিনাটি দিকগুলো। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এ বৃহৎ অবকাঠামোর সবদিক ঠিকভাবে চলছে কিনা। প্রকল্প সূত্রে আরও জানা গেছে, দুই টিউবের চার লেনের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪০ কিমি, আর পুরো টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিমি.।
স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় টানেলের টিউব অতিক্রম করতে যানবাহনে সময় নিচ্ছে সর্বোচ্চ ৩ মিনিট। টানেলের উত্তর প্রান্তের পতেঙ্গা ও দক্ষিণ প্রান্তের আনোয়ারায় ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে সংযোগ সড়ক। দুই প্রান্তে আরও স্থাপন করা হয়েছে দুটি লিফট। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে মাঝ বরাবর ৩১ মিটার ও দুই প্রান্তে ১৮ মিটার গভীরে এ টানেল নির্মিত হয়েছে। সংশোধিতসহ এ পর্যন্ত টানেল নির্মাণে ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। পুরো ব্যয়ের মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিয়েছে। অবশিষ্ট অর্থের যোগান হচ্ছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। টানেলের দুই প্রান্তে দুটি বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যাতে টানেল অভ্যন্তরে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু থাকে। এ টানেল চট্টগ্রাম মহানগরী ও সন্নিহিত উপজেলা আনোয়ারাকে সংযুক্তি ঘটিয়েছে চীনের সাংহাই নদীর আদলে আগামীতে চট্টগ্রাম নগরী পরিণত হবে ওয়ান সিটি টু টাউন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, চীনের জনবহুল নগরী শিল্প ও বাণিজ্যিক কেন্দ্রকে দুভাগে ভাগ করেছে চ্যাং জিয়াং নদীর উপনদী হুয়াংপু। এ নদীর তলদেশে নির্মিত টানেল যুক্ত করেছে নদীর উভয় পাড়কে। সাংহাই হয়েছে ওয়ান সিটি টু টাউনে। অনুরূপ চিন্তা ভাবনায় দেশের প্রধান বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ প্রান্তে আনোয়ারাকে যুক্ত করেছে এই টানেল। এর মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকাগামী যানবাহনকে আর মহানগরের অভ্যন্তরে ঢুকতে হবে না। টানেল ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে চলে যাবে গন্তব্যে। বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবানগামী পর্যটকরা স্বল্প সময়ে আসা যাওয়া করার সুযোগ পাবেন।
এছাড়া নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলায় ক্রমাগতভাবে গড়ে উঠছে বিভিন্ন শিল্প কারখানা। প্রতিষ্ঠা হয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড। এছাড়া রয়েছে আরও কেপিআই (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন)। এছাড়া মহেশখালীর মাতারবাড়িতে প্রতিষ্ঠা হচ্ছে গভীর সমুদ্র বন্দর। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছে দুটি এলএনজি ভাসমান টার্মিনাল। প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে আরও উন্নততর পর্যায়ে নেওয়ার লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। কক্সবাজার বিমান বন্দরকে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে ভিন্ন আদলে। নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেল স্টেশন। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এসব মেগা প্রকল্পের কর্মকা- নিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ টানেল ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহন সার্বক্ষণিক চলাচলের সুযোগ পাবে।
- PM opens Southeast Asia`s largest fertiliser factory in Narsingdi
- Tk 12,500 announced as minimum wage for RMG workers
- PM vows to make leprosy free Bangladesh by 2030
- Bangladesh joins `50-in-5` campaign as first-mover country to implement DPI
- রাজধানীতে আজ চালু হলো ১০টি ইউটার্ন
- কৃষিপণ্য কেনাবেচার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘ফুড ফর ন্যাশন’ উদ্বোধন করে
- বঙ্গবন্ধুর সাথে ছোট বেলার স্মরণীয় মধুর স্মৃতি
- আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাঃ রাষ্ট্র বনাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ২৫তম পর্ব: কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই
- প্রতিমন্ত্রী জানালেন বাড়তি বিদ্যুত বিল এলে যা করবেন