ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ থামাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৩, ২৭ নভেম্বর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কেউ কোনোভাবে উন্নয়নের এই গতি থামাতে পারবে না। সরকার দেশের সার্বিক অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দেশবাসীকেও নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে।

গতকাল শনিবার সকালে গণভবন থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের’ দক্ষিণ টিউবের নির্মাণ কাজের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘের এসডিজি পরিকল্পনা মাথায় রেখেছি। ২০১০ থেকে ২০২০ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করেছি। এখন আমাদের পরিকল্পনা ২০২১ থেকে ২০৪১ নাগাদ। এই সময়ে বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। সেজন্য পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার পাশাপাশি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আজ সত্যিই অনেক আনন্দের দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটা আমাদের বিরাট অর্জন। কিছুদিন পর দ্বিতীয় টিউবের কাজও সম্পন্ন হবে। তখন আমরা পুরো টানেল উদ্বোধন করবো। আমাদের এই টানেল বাংলাদেশের জন্যই শুধু নয়, দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই প্রথম। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেমন উজ্জ্বল হবে তেমনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল হবে। দেশের অর্থনীতিতে এটা আরো বেশি অবদান রাখবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন হাইওয়েকে ৬ লেনের করে দেবে। এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রামের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে। মাতারবাড়ীতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ঐ এলাকা একটি ‘ডিপ সি পোর্টে’ পরিণত হচ্ছে। কাজেই সেদিক থেকেও এই অঞ্চলের গুরুত্ব বেড়ে যাচ্ছে। কক্সবাজার এয়ারপোর্টও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি। ঢাকায় মেট্র্রোরেল হওয়ার পর চট্টগ্রামে সমীক্ষা শুরু করেছি। কোথায় কতটুকু করতে পারি সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। চট্টগ্রামে অনেকগুলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করে দিয়েছি। কাজেই চট্টগ্রামেও যেন মেট্রোরেল হয় সেটাই আমাদের ইচ্ছা।

সরকারপ্রধান বলেন, জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার নির্বাচিত করেছে বলেই আজকে আমরা দেশের উন্নয়নের কাজগুলো করতে পেরেছি। সেজন্য আমি আমার দেশের মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে গ্রহণ করেছে। ’৭৫ এর পর ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে পরবর্তী ৮ বছরেও কেন দেশের উন্নতি হয়নি? কারণ যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই উন্নয়ন চায়নি। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়নি। ক্ষমতা তাদের কাছে ছিল ভোগের বস্তু। তারা তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাকেই বিশ্বাস করতো না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়